সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যোগী বলেন, ”কেউ যদি মরার জন্যই আসে তাহলে সে বেঁচে ফিরবেন কী করে?”
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)বিরোধী আন্দোলনের সময় মৃত্যু হয় ২০ জনের। এদিন সেই মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলে যোগী সাফাই দেন, ”কেউই পুলিশের গুলিতে মারা যাননি। যে ক’জন মারা গিয়েছেন তাঁরা সকলেই দাঙ্গাবাজদের গুলিতেই মারা গিয়েছেন। কেউ যদি রাস্তায় নামে মানুষকে গুলি করবে বলে, তাহলে হয় সে মরবে না হয় পুলিশ মরবে।” এখনও সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত উত্তরপ্রদেশ। লখনউ, কানপুর ও প্রয়াগরাজে এখনও আন্দোলনকারীরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে প্রতিবেশী দেশগুলির অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
যোগী এদিন আরও বলেন,”আজাদির স্লোগান তোলা হচ্ছে। কীসের আজাদি? আমরা কি জিন্নার স্বপ্নপূরণে কাজ করব নাকি গান্ধির স্বপ্নপূরণে কাজ করব? ডিসেম্বরের রাজ্য জুড়ে হিংসা চলার সময় পুলিশের কাজের প্রশংসা করা উচিত। রাজ্যে কোনও দাঙ্গা হয়নি। ”প্রায় ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতায় যোগী বলেন,”আমি সব সময় বলেছি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে আমরা সমর্থন করব। কিন্তু কেউ যদি পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে গণতন্ত্রের আড়ালে লুকোতে চায়, আর হিংসা ছড়ায়, তাহলে ওরা যে ভাষা বুঝবে সে ভাষাতেই বোঝানো হবে।”
সোমবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে এক শুনানির সময় উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায়, ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে সিএএ-বিরোধী হিংসার সময়। দাঙ্গা ও জনসম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে ৮৮৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৫৬১ জন জামিন পেয়েছেন। তবে পিটিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, পুলিশ প্রতিবাদীদের দমন করতে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে। এর ফলে অনেকগুলি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহতও হয়েছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.