সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছর প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে, এবছর আর চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে না ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলায়৷ চলতি বছর এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন না করার নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন৷ ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা৷ এই ধরনের নির্দেশিকা বেআইনি ও মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে দাবি করেছে রাজ্যের বিরোধীদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা৷ কিন্তু জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি৷
[‘হালুম’ শব্দ শুনেই বাইক ছেড়ে গাছে, লেপার্ড হানায় ত্রস্ত মহারাষ্ট্র]
ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী অধ্যুষিত পাকুর জেলার লিট্টিপাড়ায় প্রত্যেক বছর মহা ধুমধাম করে আয়োজিত হয় সিধো-কানহো মেলা৷ গত বছরের ওই মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই চুম্বন প্রতিযোগিতা৷ খেলার নিয়ম ছিল, খোলা মাঠের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে চুম্বনে লিপ্ত থাকতে হবে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলাকে৷ প্রতিযোগিতার শুরু হতেই ওই অবস্থায় দৌড়াতে হবে তাঁদের৷ এরপর সম্পূর্ণ মাঠ একবার চক্কর কেটে চুম্বনরত অবস্থাতেই আবারও শুরুর স্থানেই ফিরে আসতে হবে যুগলকে৷ যাঁরা প্রথম আসবেন, তাঁরাই প্রতিযোগিতার বিজয়ী হবেন৷
[মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের সময় উঁকি দেন জওয়ানরা! বিস্ফোরক সেনাপ্রধান]
আদিবাসী অধ্যুষিত পাকুর জেলার লিট্টিপাড়ায় গতবছর এই অভিনব প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলেন সেখানকার বিধায়ক সিমন মারান্ডি৷ তাঁর যুক্তি ছিল, এই ধরনের প্রতিযোগিতা স্বামী-স্ত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ভালবাসা বাড়ায়৷ তবে প্রথম থেকেই এই প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করে এসেছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি৷ তাঁদের দাবি, এই ধরনের প্রতিযোগিতা আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতিকে নষ্ট করে৷ সূত্রের খবর, রাজ্যের শাসকদল বিরোধিতা করায় আগে থেকেই এবছর সিধো-কানহো মেলা কর্তৃপক্ষকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন না করার নির্দেশিকা পাঠায় পাকুর জেলা প্রশাসন৷ এই নির্দেশিকা আসার পরই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন লিট্টিপাড়ার বিধায়ক তথা এই প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক সিমন মারান্ডি৷ তাঁর অভিযোগ, মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে সরকার৷ যদিও প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি নেতা রমেশ পুষ্কর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.