Advertisement
Advertisement
Tejasvi Surya

‘দেশের শাসনভার হিন্দুদের হাতেই থাকা উচিত’, বিতর্কিত টুইট কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদের

ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আরজি জানিয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

‘Control of state power by Hindus absolutely essential’: BJP MP
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 6, 2020 4:46 pm
  • Updated:August 6, 2020 4:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে আরবের মহিলাদের নিয়ে পুরনো টুইটের জেরে সমস্যায় পড়েছিলেন বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য (Tejasvi Surya)। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা হওয়ার পরেই অবশ্য টুইটটি ডিলিট করতে বাধ্য হন তিনি। এবার দেশের শাসনভার হিন্দুদের হাতে থাকা উচিত বলে টুইট করে ফের নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির কাছে ওই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার কিছুক্ষণ বাদে ওই বিতর্কিত টুইটটি করেন কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু দক্ষিণের ২৯ বছরের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় হিন্দুরা, ধর্মকে রক্ষা করার জন্য দেশের শাসনক্ষমতা যে হিন্দুদের হাতেই থাকা উচিত আজকের ঘটনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি আমরা শিখলাম। যখন আমাদের হাতে দেশের ক্ষমতা ছিল না তখন আমরা আমাদের মন্দির খুইয়ে ছিলাম। কিন্তু, ফের যখন ক্ষমতা ফিরে এসেছি তখনই আমরা নতুন করে মন্দির তৈরি করেছি। ২০১৪ সালে ২৮২ ও ২০১৯ সালে ৩০৩ -এর জন্যই শ্রী নরেন্দ্র মোদি আজকের ঘটনা ঘটাতে পেরেছেন।’

[আরও পড়ুন: বেতনে কোপ, আয় বাড়াতে অফিসেই জুয়ার আসর বসিয়ে গ্রেপ্তার ৭ রেলকর্মী ]

বিজেপি সাংসদের এই বিতর্কিত টুইটের কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ড়ুকে টুইট করে তেজস্বীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আরজিও জানিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে কর্ণাটক (Karnataka) হাই কোর্টের প্রাক্তন সরকারি আইনজীবী বি টি ভেঙ্কটেশ ( B T Venkatesh) বলেন, ‘বেঙ্গালুরুর মতো একটি শিক্ষিত শহরের সাংসদের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য কখনই আশা করা যায় না। তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা পুরোপুরি দেশের সংবিধানের বিরোধী। এর ফলে ভারতের সংবিধানের ঐতিহ্য, নীতি ও আদর্শের অবমাননা হয়েছে। সংবিধানের শপথ নেওয়ার পরেও তিনি এই ধরনের মন্তব্য কী করে করলেন তা বোধগম্য হচ্ছে না। ভারতের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। তাছাড়া উনি যে হিন্দু ধর্মের কথা বলতে চাইছেন তাতেও কোনওদিন এই শিক্ষা দেওয়া হয় না।’

[আরও পড়ুন: ‘মন্দির ভেঙে এবার তৈরি হবে মসজিদ’, হুঁশিয়ারি ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement