সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কংগ্রেসেও (Congress) চালু হচ্ছে এক ব্যক্তি-এক পদ। যার প্রথম শিকার হচ্ছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কংগ্রেস সূত্রের খবর, লোকসভার দলনেতার পদ থেকে সরানো হতে পারে বহরমপুরের সাংসদকে। যদিও, রাহুল গান্ধী নিজে নাকি অধীরকে সরানোর পক্ষে নন। তা সত্ত্বেও অধীরের (Adhir Ranjan Chowdhury) লোকসভার পদ খোয়ানো কার্যত নিশ্চিত।
আসলে লোকসভার দলনেতার হওয়ার পাশাপাশি অধীরবাবু এই মুহূর্তে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও। বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য পাওয়ার পর দল চাইছে এবার পুরোপুরি বাংলার রাজনীতিতে মনোনিবেশ করুন অধীর। সেকারণেই লোকসভার দলনেতার পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। বাংলার বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময়ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসাবে কাজ করছিলেন পাঞ্জাবের সাংসদ রবনীত সিং সিং বিট্টো।
অধীরকে সরানো হলে কে হবেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। আপাতত যে দুজনের নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন কেরলের শশী থারুর এবং পাঞ্জাবের মণীশ তিওয়ারি। শশী এবং মণীশ দুজনেই আবার কংগ্রেসের অন্দরের বিদ্রোহী G-23 গ্রুপের সদস্য। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ২৪-এর নির্বাচনের আগে এই বিদ্রোহী শিবিরের বিশ্বাস অর্জন করতে চান বলেই সূত্রের দাবি। তাছাড়া, লোকসভার দলনেতা পদে যোগ্যতার নিরিখেও এঁরা অন্যদের থেকে এগিয়ে। তবে এদের পাশাপাশি অসমের গৌরব গগৈ, পাঞ্জাবের রবনীত সিং বিট্টো এবং তেলেঙ্গানার উত্তরম কুমার রেড্ডির নামও ভাবা হচ্ছে।
নতুন নেতা যেই হোন, অধীরকে যে ওই পদ থেকে সরতে হচ্ছে, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। যদি শেষ পর্যন্ত রাহুল (Rahul Gandhi) ভেটো না দেন, তাহলে ১৯ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরুতেই নতুন দলনেতা পাবে কংগ্রেস। যদিও অধীরকে পারফরম্যান্সের জন্য নয়, ‘এক ব্যক্তি-এক পদ’ নিয়ম কার্যকর করার জন্য সরানো হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.