সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশি নিষ্ক্রয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গ্রেপ্তার এক কংগ্রেস তথা সমাজ কর্মী। কাঠগড়ায় যোগী প্রশাসনের পুলিশ। নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ। ওই কংগ্রেস কর্মী সদফ জাফর অশান্তির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছিলেন। সেই ছবি দেখিয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের কথা বলতেই পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।পুলিশি হেফাজতে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের কর্মী সদফ জাফর পুলিশকে ছবি দেখিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিল। পুলিশ তা না করে, তাঁকেই গ্রেপ্তার করে বেধড়ক মারধর করে। এই ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।”
हमारी महिला कार्यकर्ता सदफ ज़फ़र पुलिस को बता रही थीं कि उपद्रवियों को पकड़ो और उन्हें यूपी पुलिस ने बुरी तरह से मारा पीटा व गिरफ्तार कर लिया। वह दो छोटे-छोटे बच्चों की मां हैं। ये सरासर ज्यादती है। इस तरह का दमन एकदम नहीं चलेगा।https://t.co/ydS8uYuosM
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) December 22, 2019
”
CAA আইনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ উত্তাল। ১৯ ডিসেম্বর লখনউয়ের হজরতগঞ্জ পুলিশ স্টেশন এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছিল। সেখানে প্রতিবাদীরা গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছিল তারা। সেই ছবিই ক্যামেরাবন্দি করছিলেন কংগ্রেসের ওই মহিলা কর্মী। আর সেই ছবি দেখিয়ে পুলিশকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে বলেন। তার কথা তো শোনা হয়নি উল্টে তাঁকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
সদফ জফরের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ওদের আটকাচ্ছেন না কেন? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখছেন কেন? ওদের গ্রেপ্তার করুন।” দেখা যায়, এরপরই এক মহিলা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরের আরেকটি ভিডিওতে সদফকে বলতে শোনা যায়, “আরে আমাকে কেন গ্রেপ্তার করছেন? আমি কী করলাম? যারা পাথর ছুঁড়ছে তাদের গ্রেপ্তার করছেন না কেন? ” সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে সদফের বোন নাহিদ বর্মা জানান, “আমার দিদি কোনও অপরাধ করেনি। না ওর কাছে কোনও অস্ত্র ছিল। না তো ও কোনও সরকার বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছিল। ওর হাতে সংবিধান ছিল।” ফেসবুকে পোস্ট করে নাহিদ জানান, “পুলিশের তরফে ওঁর পরিবারের সঙ্গে কাউকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে দিদির বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত, খুনের চেষ্টার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে।” মেরে তাঁর হাত, পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সদফ জাফরের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।বিষয়টি নিয়ে পাল্টা পোস্ট করেছেন জেএনইউয়ের পড়ুয়া তথা সমাজকর্মী উমর খালিদও। তাঁর কথায়, “শুনেছি পুলিশ ওঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার করছে। এমনকী পুরুষ পুলিশ কর্মীরা তাঁকে মারধর করছে। আমরা এখনই বিনা শর্তে তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.