সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজস্থানের উদয়পুরে আয়োজিত কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের শেষ দিন বড় ঘোষণা কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi)। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ”আমরা জিতব, এটাই আমাদের সংকল্প। এটাই আমাদের নব সংকল্প।”
ঠিক কী এই ‘ভারত জোড়ো’ কর্মসূচি? সোনিয়া জানাচ্ছেন, গান্ধী জয়ন্তীর দিন থেকে শুরু হবে ‘কন্যাকুমারী সে কাশ্মীর ভারত জোড়ো যাত্রা’। তারও আগে ১৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ‘জনজাগরণ অভিযান’ চালাবে কংগ্রেস। সভানেত্রীর কথায়, ”কংগ্রেস এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখান থেকে বেরিয়ে আসব। জনজাগরণ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করা হবে। তারপর দেশজুড়ো অভিযান চালানো হবে।”
১৯৪২ সালে কংগ্রেস ভারত ছাড়ো আন্দোলন করেছিল। সেই কথাকে মাথায় রেখেই ২০২২ সালে এবার কংগ্রেস শুরু করবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। বলা হচ্ছে, এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রাই রয়েছে কংগ্রেসের।
গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। তিনদিনের এই শিবির থেকে পরিষ্কার, গতানুগতিক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। শিবিরের শুরুতেই কংগ্রেস নেতারা স্বীকার করে নিয়েছিলেন, গত দু’বছরে গণতন্ত্রের আধুনিকীকরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় পিছিয়ে পড়েছে দল। তাই এবার আধুনিকীকরণে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে বিজেপির ধাঁচে মনগ্রাহী স্লোগান, ক্যাচলাইন বা প্রচার কৌশল তৈরির জন্য আলাদা পেশাদার লোক নিয়োগ করার কথাও ভাবছে দল।
এছাড়াও এই শিবিরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। যার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, দলের অন্দরের বিক্ষুব্ধ শিবিরের অন্যতম দাবি মেনে আলাদা সংসদীয় বোর্ড গঠন করা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের ওয়ার্কিং কমিটির সিলমোহর পেলেই আলাদা সংসদীয় বোর্ড তৈরির প্রস্তাব ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব এদিন দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে দলের সমস্ত পদে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হতে পারে। সবটাই CWC’র অনুমতি সাপেক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.