সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের ক্ষমতাবৃদ্ধি ও সুরক্ষার স্বার্থে তিনটি অর্ডিন্যান্স (Ordinance) জারি করেছিল কেন্দ্র। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনে তা পাশ করানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এতে আপাতভাবে কৃষক স্বার্থ বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে মনে হলেও ঘুরপথে কর্পোরেটাইজেশন বা কৃষিক্ষেত্রে পুঁজিবাদীদের প্রবেশ নিশ্চিত করাই লক্ষ্য বলে ধারণা কৃষকদের একটা বড় অংশের। তাকে হাতিয়ার করে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদরা অর্ডিন্যান্সগুলিকে বিলে পরিণত করার বিরোধিতা করবেন বলে আগাম ইঙ্গিত আছেই। তবে চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার কৃষক বিক্ষোভের ছবিটা। যা আবার বিরোধী কংগ্রেসের তুরুপের তাস। সংসদে তা নিয়েই বিরোধিতায় সরব হতে চলেছে কংগ্রেস।
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। The Farmers (Empowerment and Protection) Agreement on Price Assurance and Farm services ordinance, 2020 – এই অর্ডিন্যান্সটি পাশ করাতে চায় কেন্দ্র। কংগ্রেস, সিপিএম ও অন্যান্য বিরোধী দলের গুটিকয় সাংসদদের আপত্তি খারিজ করে সংখ্যাধিক্যে বিল পাশ হয়ে যাবে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত দ্বিতীয় মোদি সরকার। কিন্তু তাতেও কি স্বস্তি মিলছে পুরোপুরি? মোটেই না। অস্বস্তিতে ফেলছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার কৃষক বিক্ষোভ। সেখানকার কৃষকরা নতুন অর্ডিন্যান্স নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ।
অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, কৃষক মান্ডি না থাকলেও বাইরে কোনও কৃষক নিজের জমির উৎপাদিত সবজি বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করতে পারবেন। চুক্তিচাষের রাস্তা প্রশস্ত, মজুতের ক্ষেত্রে কোনওরকম বিধিনিষেধ থাকবে না। কৃষকদের অভিযোগ, এভাবে আসলে কৃষিক্ষেত্রকে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আর ঠিক এই জায়গা থেকেই হরিয়ানার কৃষক বিক্ষোভকে হাতিয়ার করতে চাইছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁরা এ নিয়ে সংসদে সরব হবেন। বিরোধিতায় শামিল হতে চলেছে তৃণমূল, বামেরাও। কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেডের আশা, হরিয়ানার কৃষক বিক্ষোভ ইস্যুকে যথাযথভাবে রাজনৈতিক অস্ত্র করে তুলতে পারলে ফায়দা হতে পারে। আর তা বেশ টের পাচ্ছে বিজেপিও। তাই বিল পাশ করাতে পারলে খানিকটা স্বস্তি মিলতে পারে দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.