Advertisement
Advertisement

Breaking News

Congress

‘ভারত জোড়ো’র বঙ্গ সংস্করণে আক্রমণ তৃণমূলকেও, কংগ্রেসের দ্বিচারিতায় প্রশ্ন

রাজ্যভিত্তিক ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণের কৌশল।

Congress will attack TMC politically in the Bengal version of 'Bharat Joro Yatra' | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 13, 2022 12:14 pm
  • Updated:November 13, 2022 3:14 pm  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি : দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্লোগানকে সামনে রেখে বিজেপি (BJP) বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের (Congress) ‘ভারত জোড়ো’ (Bharat Jodo Yatra) যাত্রা। যে রাজ্যগুলিতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে প্রদেশ কমিটির নেতৃত্বে হচ্ছে রাজ্যভিত্তিক যাত্রা। ২৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে তেমনই এক যাত্রা কলকাতা থেকে রওনা দেবে শিলিগুড়ির দিকে। যেখানে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস আক্রমণ হানবে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের দিকেও। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে বামেদেরও পাশে চাইছেন মল্লিকার্জুন খাড়গেরা (Mallikarjun Kharge)। নিজেদের জমি শক্ত করতে গিয়ে আদতে সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী জোটে ফাটল ধরাচ্ছে না তো কংগ্রেস? তাদের এই দ্বিচারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

ইতিমধ্যেই ওড়িশা (Odisha) ও অসমে (Assam) শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) জন্মদিবস, ১৯ নভেম্বর থেকে ত্রিপুরা (Tripura) ও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বাংলায় শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের কর্মসূচি। ওড়িশা, অসমের ফরমুলা মেনে ত্রিপুরা এবং বাংলায় রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করা হবে, এমনটাই খবর কংগ্রেসের অন্দরে। কিন্তু একদিকে গান্ধীরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দরাজ সার্টিফিকেট দেবেন, আবার তৃণমূলকে আক্রমণও করবেন। এই দ্বিচারিতা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। মিশন ২০২৪-এ নিজেদের পায়ে কুড়ুল কেন মারছে কংগ্রেস? উঠছে এই ধরনের প্রশ্ন।

Advertisement

আরও পড়ুন: আরও কমল দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্ত, নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও]

২৪, আকবর রোডের খবর, প্রদেশ নেতৃত্বের দাবি মেনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকমান্ড। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ (Jaram Ramesh) বলেন, “কেরল, তেলঙ্গানাতেও (Telangana) আমরা স্থানীয় ইস্যু নিয়ে বাম, টিআরএস-কে (TRS) আক্রমণ করেছি। আমরা জাতীয় দল এটা যেমন ঠিক, তেমনই রাজ্যভিত্তিক বিষয়গুলিও তো দেখতেই হবে। দুইয়ের মধ্যে ব্যালান্স করে চলতে হয়।”

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অখিল গিরি, বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে এবার দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের]

যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, রাজ্য নেতাদের দাবিকে মান্যতা দিতে গিয়ে জাতীয়স্তরে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে না তো? রাহুলের যাত্রার মূল সুর ছিল বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক করা। বাংলার কর্মসূচির পর তার কী হবে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement