সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির ফর্মুলা বিহারে নয়। নীতীশ কুমারের রাজ্যে লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট শরিক হয়েই লড়বে কংগ্রেস। ভোটের বেশ কয়েক মাস আগেই একপ্রকার ঘোষণা করে দিল হাত শিবির। বুধবার বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি রাজেশ কুমার জানিয়ে দিলেন, “অন্যান্য রাজ্যের মতো পরিস্থিতি বিহারে নয়। রাজ্যে জোট মজবুত। আমরা ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারেই লড়ব।”
বিহারে ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং বামেদের সঙ্গে জোটে লড়েছিল কংগ্রেস। সেবার আরজেডি এবং বামেরা ভালো ফল করলেও কংগ্রেসের স্ট্রাইক রেট তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। বস্তুত ২০২৪ লোকসভাতেও বিহারে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি হাত শিবির। যার জেরে এবার তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি কংগ্রেসকে বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। আরজেডির তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ২৪৩ আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে বড়জোর ৪০-৪৫ আসন ছাড়া হতে পারে।
আরজেডির ভাবগতিক বুঝে গত কয়েকমাসে বিহারে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। সেরাজ্যের রাজ্য সভাপতি পদে বদল আনা হয়েছে। লালুপ্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ অখিলেশ সিংকে সরিয়ে আনা হয়েছে রাজেশ কুমারকে। প্রদেশ পর্যবেক্ষক পদে আগেই এসেছেন রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কৃষ্ণা আলুভারু। এমনকী দিল্লি থেকে কানহাইয়াকে বিহারে পাঠিয়ে প্রচারের মুখ করা হয়েছে। কানহাইয়াও রাজ্যে পদযাত্রা শুরু করে দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতারা মাঝে মাঝে হুঙ্কারও দিচ্ছিলেন, জোটে যোগ্য সম্মান না পেলে একাই লড়ার জন্য প্রস্তুত কংগ্রেস। কিন্তু বুধবার দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর বিহার কংগ্রেস নেতারা বুঝিয়ে দিলেন, তাঁদের লম্ফঝম্ফই সার। বিহারে কংগ্রেস লড়বে ইন্ডিয়া জোটের ছোট শরিক হিসাবেই। দিল্লির মতো একা লড়ে আরজেডির ক্ষতিসাধন তাঁদের উদ্দেশ্য নয়।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলে দিলেন, “বিহারে জোট শক্তিশালী। আমরা ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারেই লড়ব।” দলের পর্যবেক্ষক কৃষ্ণা আলুভারুও বলছেন, “দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা জোটেই লড়ব। আসন সমঝোতা নিয়ে যাবতীয় আলোচনা পরে দুদলের শীর্ষনেতারা করবেন।” তেজস্বী যাদবকে কি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মানতে রাজি কংগ্রেস? আলুভারু বলছেন, “কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হবেন, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জোটের সব দলের শীর্ষ নেতারা যৌথভাবে নেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.