Advertisement
Advertisement

Breaking News

গুলাম নবি আজাদ

‘অভ্যন্তরীণ নির্বাচন না হলে ৫০ বছর বিরোধী আসনেই থাকতে হবে কংগ্রেসকে’, বিস্ফোরক আজাদ

তোষামোদকারীরাই বড় পদ পায় কংগ্রেসে, ইঙ্গিত বর্ষীয়ান এই নেতার।

Congress to be opposition if, says Ghulam Nabi Azad
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 28, 2020 1:01 pm
  • Updated:August 28, 2020 1:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের অন্দরের বিবাদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সোনিয়া গান্ধী যেদিন দলের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ কমিটি থেকে ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের একপ্রকার ছেঁটেই ফেললেন, সেদিনই বিদ্রোহী শিবিরের অন্যতম মুখ গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad) সংবাদমাধ্যমে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন। তিনি বলছেন, যদি অবিলম্বে দলের অন্দরে নির্বাচন না হয়, তাহলে আগামী ৫০ বছরেও ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না কংগ্রেস (Congress)।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন,”দলের উচিত ব্লকস্তর থেকে শুরু করে জেলা কমিটি, রাজ্য কমিটি এবং অবশ্যই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি পর্যন্ত প্রত্যেকটি পদে নির্বাচন করা। কারণ, আপনি যখন নির্বাচনে লড়াই করে পদে আসছেন, তখন আপনার কাছে অন্তত ৫১ শতাংশ কর্মীর সমর্থন থাকছে। আর যারা নির্বাচনে পরাজিত হচ্ছেন, তাঁরাও হয়তো ১০-১৫ শতাংশের সমর্থন পাচ্ছেন। সুতরাং তাঁরাও চেষ্টা করবেন পরেরবার ভোটে জেতার জন্য ভালভাবে দলের কাজ করতে।” আজাদের ইঙ্গিত, আজকাল প্রদেশ সভাপতি (PCC President) নির্বাচিত হচ্ছেন তোষামোদকারীরা। তিনি বলছেন, আজকাল এমন নেতার প্রদেশ সভাপতি হচ্ছেন, যাদের হয়তো দিল্লিতে যোগাযোগ আছে। কোনও বড় নেতা তাঁদের হয়ে সুপারিশ করছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আরও অন্তত দু’মাস চুপচাপ থাকুন’, করোনার টিকা প্রসঙ্গে মন্তব্য সেরাম কর্তার]

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার সাফ কথা,”দলের যে সমস্ত নেতা নির্বাচনের বিরোধিতা করছেন, তাঁরা সস্তার রাজনীতি করছেন। নির্বাচনে না জিতে এলে কারও ১ শতাংশও গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। নতুন সভাপতি নির্বাচিত না হয়ে মনোনীত হলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বোঝা যাবে কী করে?” তিনি বলছেন, “আজ থেকে ১৫ বছর আগেই হয়তো নির্বাচন করা উচিত ছিল। কংগ্রেসে দশকের পর দশক অভ্যন্তরীণ নির্বাচন হয়নি। যারা আমাদের দাবির বিরোধিতা করছে, তাঁরা জানে যে, নির্বাচন হলে তাঁরা কোথাও জায়গা পাবেন না। আর যদি দল এভাবে আগামী ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসে থাকতে চায়, তাহলে নির্বাচনের দরকার নেই।”

[আরও পড়ুন: ‘বিদ্রোহী’দের ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু? কংগ্রেসের বড় পদে রাহুল ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ সোনিয়ার]

বস্তুত বর্ষীয়ান এই নেতা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) ‘জড়ভরত’ নেতাদের আক্রমণ করেছেন। যাদের হয়তো কোনও জনভিত্তি নেই, দীর্ঘদিন কোনও নির্বাচনে জেতেননি, বা আধুনিক সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে পারেননি, কিন্তু এআইসিসির পদ আঁকড়ে বসে আছেন। আজাদের এই নির্বাচনের প্রস্তাব মানতে হলে দলের বড় বড় হোতারা যে পদ খোয়াবেন, তা বলাই বাহুল্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement