ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশনীতি ঘিরে ফের কেন্দ্রের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস (Congress)। খলিস্তানি বিতর্কে কানাডার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি জারি করেছে ভারত। দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককেও। গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের (Central Government) সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। দলের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, দেশের স্বার্থ ও উদ্বেগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নয়। প্রসঙ্গত, এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও কেন্দ্রের নীতির প্রশংসা করেছিল কংগ্রেস।
সোমবার কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, কানাডার নাগরিক ও খলিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrosrist) নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার নেপথ্যে ভারতের ভূমিকা রয়েছে। তারপরেই ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানান কানাডার বিদেশমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, কানাডার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে ভারত। এই মন্তব্যের পরেই কড়া মন্তব্য করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, কানাডার এই অভিযোগ অবাস্তব ও ভিত্তিহীন। ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাই কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য খারিজ করছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে কানাডার দিকেই অভিযোগের তির ছুঁড়েছে ভারত। সেইসঙ্গে কানাডা থেকে ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কারের পরেই সেদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সদর দপ্তরে। সেখানেই জানানো হয়, এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে পাঁচ দিনের মধ্য দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই এক্স প্ল্যাটফর্মে টুইট করেন কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও আপস করে না জাতীয় কংগ্রেস। বিশেষ করে সেই সন্ত্রাসবাদ যখন দেশের একতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করে। আমাদের দেশের স্বার্থকে সবসময়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, কানাডায় খলিস্তানি কার্যকলাপ নিয়ে আগেও প্রতিবাদ জানিয়েছিল কংগ্রেস। কয়েকদিন আগেই সেদেশের রাস্তায় ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদৃশ্য নিয়ে ট্যাবলো বেরিয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.