সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভার পর সভায় আসা কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিরিয়ানির প্যাকেটের। কিন্তু, সভা শেষ হওয়ার আগেই সেই প্যাকেট তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন সেখানে উপস্থিত মানুষজন। আর তা নিয়ে বচসা হতে হতেই আচমকা শুরু হয়ে যায় মারপিট। এর জেরে জখম হন অনেকে। পরে নির্বাচনী জনসভায় অনুমতি ছাড়া বিরিয়ানির প্যাকেট বিলির অভিযোগ উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কাকরোলি থানার অন্তর্গত তাধেদা গ্রামে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুজফ্ফরনগরের কংগ্রেস প্রার্থী নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকির সমর্থনে নিজের বাড়িতে একটি নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেছিলেন সদ্য কংগ্রেসে আসা প্রাক্তন বিএসপি বিধায়ক মৌলানা জামিল। ঠিক ছিল জনসভা শেষ হওয়ার পর উপস্থিত সবাইকে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হবে। কিন্তু, সভা শুরু হওয়ার পরেই বিরিয়ানি প্যাকেটের জন্য দাবি জানাতে থাকেন কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। তা নিয়েই বাকিদের সঙ্গে শুরু হয় অশান্তি। কথা কাটাকাটির ফাঁকেই শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। একটা প্যাকেটে বিরিয়ানির জন্য একে অপরের উপর লাঠি ও বাঁশ নিয়ে চড়াও হন তাঁরা। এর জেরে জখম হন অনেকে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এপ্রসঙ্গে কাকরোলি থানার সার্কেল অফিসার রাম মোহন শর্মা বলেন, এই ঘটনায় বাড়ির মালিক জামিল ও তাঁর ছেলে নইম আহমেদ-সহ মোট ৩৪ জনের নামে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তাধেদা গ্রামে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশকর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মিরপুর বিধানসভা থেকে ২০১২ সালে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির হয়ে নির্বাচনে জিতেছিলেন মৌলানা জামিল। কিন্তু, গত সপ্তাহে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.