সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়তো বলে বিকাশের গুঁতো। গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গোটা দেশে ১ কোটিরও বেশি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। সংসদে কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে ১ কোটি ৯ লক্ষ গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রক। ফলে, পাঁচ বছরে কী উন্নয়ন হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, উন্নয়নের গুঁতোতে পরিবেশের যে সমুহ ক্ষতি হয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য।
লোকসভায় গাছ কাটা সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয় জানান, “বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতি নিয়েই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রয়োজন মতো ১ কোটি ৯ লক্ষ গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাছ কাটা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালেই। তবে, বনে বা জঙ্গলে আগুন লাগার কারণে যে কত গাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কোনও হিসেব নেই।” মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ বর্ষে ২৩.৩ লক্ষ গাছ কাটা হয়েছে, ২০১৫-১৬ বর্ষে ১৬.৯ লক্ষ গাছ কাটা হয়েছে। ২০১৬-১৭ বর্ষে ১৭.০১ লক্ষ এবং ২০১৭-১৮ বর্ষে প্রায় ২৫.৫ লক্ষ গাছ কাটা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পর বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেসও। সরকারকে ঘুরিয়ে পরিবেশ বিরোধী বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা।
দেশের একপ্রান্তে খরার প্রকোপ। অন্যপ্রান্ত বন্যার জেরে বহু মানুষের প্রাণসংশয়। একদিকে, জলের অভাবে মাইলের পর মাইল ছুটছেন বাসিন্দারা। অন্যদিকে জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে বাড়ি। মুম্বই এবং চেন্নাই দুই শহরের এই ছবি। কিন্তু, কেন এমন হচ্ছে? প্রশাসনের তরফে তো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে। আসলে, এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। বিজ্ঞান বলে, বন্য বা খরার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী বৃক্ষচ্ছেদন। গাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলেই আজ ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পৃথিবীর। গত পাঁচ বছরে যেভাবে বৃক্ষচ্ছেদন হয়েছে, তাতে এর দায় কিছুটা হলেও সরকারের উপর বর্তায়। যদিও সরকারের দাবি, যা গাছ কাটা হচ্ছে তাঁর দ্বিগুণ নতুন গাছ বসানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.