সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিশন চন্দ্রযান-২ নিয়ে আপামর ভারতবাসী গর্বিত। যাদের কুশলী মস্তিষ্কের সৌজন্যে এই অসাধ্যসাধন সম্ভব হয়েছে, সেই ইসরোর বিজ্ঞানীদেরও কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। অথচ এসবের মধ্যেই বিজ্ঞানীদের অসম্মান করেছে কেন্দ্র! এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের। আসলে, চন্দ্রযান মিশন চলাকালীনই ইসরোর বিজ্ঞানীদের বেতন অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে তাদের দুটি উৎসাহ-ভাতা। এবার মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে রাজ্যসভায় নোটিসও দিয়েছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপনের আগে বিজ্ঞানীরা যখন দিনরাত পরিশ্রম করছেন, সেসময়ই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় বিজ্ঞানীদের দুটি উৎসাহ-ভাতা বন্ধ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয় ১২ জুন। যাতে বলা হয়, ১৯৯৬ থেকে অতিরিক্ত বেতন হিসেবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা দুটি উৎসাহ-ভাতা পাচ্ছেন। যা বন্ধ করা হচ্ছে। এই উৎসাহ-ভাতা ১ জুলাই থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে ডি, ই, এফ, এবং জি পর্যায়ের বিজ্ঞানীরা কম বেতন পাবেন। ইসরোতে মোট ১৬ হাজারের আশেপাশে বিজ্ঞানী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ বিজ্ঞানী মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কম বেতন পাবেন এ মাস থেকে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই অখুশি বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের ইসরোর প্রতি আকৃষ্ট করতে এবং তাঁরা যেন বিদেশি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে চাকরি নিয়ে না চলে যান, সেই লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে এই উৎসাহ-ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তখন থেকেই এই রীতি চলে আসছিল। কিন্তু ২৩ বছর পর সেই অতিরিক্ত ভাতা বন্ধ করল কেন্দ্র। কংগ্রেসও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। বর্ষীয়ান নেতা বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়ে নোটিসও দিয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন করছে, যে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের চাঁদে পৌঁছে দিল, এভাবে তাদের উৎসাহ-ভাতা কমিয়ে দেওয়ার কারণটা কী?
Congress MP, Motilal Vora has given Zero Hour notice in Rajya Sabha over ‘deduction in wages of Indian Space Research Organisation (ISRO) scientists.’ (file pic) pic.twitter.com/X4i7UQd9nq
— ANI (@ANI) July 30, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.