স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : আসন্ন বাজেট অধিবেশনে সরকারকে চাপে রাখতে সমমনোভাবাপন্ন সব বিরোধী দলকে একসঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানাবে কংগ্রেস (Congress) । দলনেত্রী তথা ইউপিএ (UPA) চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নেতৃত্বে শুক্রবার দলের সংসদীয় নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভার সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সব বিরোধী দলই একসঙ্গে আন্দোলন করলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে মতাদর্শগত দূরত্ব রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বৈঠকের এই সিদ্ধান্তে মূলত তৃণমূলকেই সংসদে একসঙ্গে চলার বার্তা দিল কংগ্রেস।
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সামনে অন্যতম হার্ডল হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল। গোয়ার নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে একসঙ্গে লড়ার আহ্বানও করেছিল তৃণমূল, যাকে গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিপক্ষ আম আদমি পার্টি। শুক্রবারের বৈঠকে সংসদে সরকার বিরোধী লড়াইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দুই দলকে পাশে পেতেই একসঙ্গে লড়ার বার্তা দিল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদি পার্টি সংসদের ভিতরের লড়াইয়ে সাধারণত কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকে। এবারও তাদের পাশে পেতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
সোনিয়ার নেতৃত্বে হওয়া ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি, রাজ্যসভার উপবিরোধী দলনেতা আনন্দ শর্মা, মণিক্কম টেগোর, কে সি বেণুগোপাল, কে সুরেশ, এ কে অ্যান্টনি, গৌরব গগৈ, মণীশ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশরা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না লোকসভায় দলের অন্যতম মুখপাত্র রভনীত সিং বিট্টু। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি নাকি জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি বৈঠকে।
তাহলে প্রশ্ন কীভাবে উপস্থিত থাকলেন পাঞ্জাবেরই সাংসদ মণীশ তিওয়ারি? তাছাড়া আগেরদিন পাঞ্জাবে রাহুল গান্ধীর কোনও কর্মসূচিতেই ছিলেন না বিট্টু। হঠাৎ কী এমন ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তিনি যে দলের কোনও কর্মসূচিতেই থাকতে পারছেন না? উঠছে এই প্রশ্নও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.