সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য নেতারা চাইছেন না। কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সঙ্গে জোট বাঁচাতে একপ্রকার মরিয়া কংগ্রেস (Congress) হাইকম্যান্ড। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী নিজে ফোন করলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকে। প্রস্তাব দিলেন, যা যা সমস্যা সব মিটিয়ে ফেলে এবার একসঙ্গে পথ চলা যাক।
আরজেডি (RJD) এবং কংগ্রেসের বিবাদের মূল কারণ কুশেশ্বরস্থানের উপনির্বাচন। ওই কেন্দ্রে জোটের সূত্র অনুযায়ী কংগ্রেসের লড়াই করার কথা। কিন্তু এবারে আরজেডি ওই কেন্দ্রে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে লালুপ্রসাদের (Lalu Prasad Yadav) দল। আসলে, গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জঘন্য পারফরম্যান্সের জেরে তাঁদের আর বিশ্বাস করতে পারছে না জোটসঙ্গী আরজেডি। সম্ভবত সেকারণেই ওই কেন্দ্রে নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেজস্বী যাদব। যাতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। এআইসিসির (AICC) বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ভক্তচরণ দাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আরজেডি কংগ্রেসকে সম্মান করলে, কংগ্রেসও আরজেডিকে সম্মান করবে। আরজেডি কেন এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিল? এই জোট ভাঙার দায় ওদেরই নিতে হবে।” এমনকী আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিহারের সবকটি আসনে একা লড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন ভক্তচরণ দাস।
পালটা ভক্তচরণ দাসকে তোপ দাগেন লালু (Lalu Prasad Yadav) নিজে। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লাভের লাভ কিছুই হয় না। উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে আসন ছাড়ার অর্থ, ওই আসনটি বিজেপি-জেডিইউকে (JDU) উপহার দেওয়া। কারণ, কংগ্রেস ওই কেন্দ্রে লড়লে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভক্তচরণ দাসকে ‘নির্বোধ’ বলেও তোপ দাগেন লালু। যার জেরে প্রবল ক্ষোভ জমে বিহার প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, আরজেডির সঙ্গে সমঝোতা আর নয়।
কিন্তু সূত্রের খবর, পুরনো এবং বিশ্বস্ত জোটসঙ্গী লালুপ্রসাদকে হাতছাড়া করতে চান না সোনিয়া গান্ধী। লালুকে পাশে পেতে তাই নিজে তাঁকে ফোন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। আসলে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) সঙ্গে লালুর সম্পর্ক বরাবরই ভাল। সেই বাজপেয়ীর আমল থেকেই সোনিয়ার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন লালু। পুরনো সম্পর্ক তুলে ধরেই ফের লালুকে পাশে চাইছেন সোনিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.