সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট করের বোঝা, সেই সঙ্গে মোটা অঙ্কের ঋণ। যার ফলে জর্জরিত টেলিকম সংস্থাগুলি ট্যারিফের মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেলিকম সংস্থাগুলির এই ফরমানের বিরুদ্ধে এবার সংসদে সরব কংগ্রেস। তাদের দাবি, ইচ্ছেমতো ট্যারিফের মূল্য বাড়িয়ে ইংরেজদের মতো আচরণ করছে টেলিকম সংস্থাগুলি। দেশের টেলিকম ব্যবসার বর্তমান দুরাবস্থার জন্য সরকারকেই দায়ী করছে বৃহত্তম বিরোধী দল।
এয়ারটেল, ভোডাফোন-আইডিয়া এবং জিও, প্রধান তিন টেলিকম সংস্থাই ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ হারে কলরেট তথা ইন্টারনেটের খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে অফ-নেট(অর্থাৎ অন্য সংস্থার নম্বরে) কলিংয়ের ক্ষেত্রে আনলিমিটেড কলের সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে তিনটি সংস্থাই। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কলের পর অন্য নম্বরে কল করতে গেলে এখন গাঁটের কড়ি গুণতে হবে। টেলিকম সংস্থাগুলির নতুন ফরমানের ফলে গ্রাহকদের পকেট থেকে আগের তুলনায় অনেক বেশি টাকা খসবে।
সোমবার কংগ্রেস সাংসদ প্রতাপ সিং বাজওয়া প্রশ্ন তোলেন, টেলিকম সংস্থাগুলি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো আচরণ করছে। সরকারের উচিত ওদের থামানো। বাজওয়ার দাবি, যেভাবে ট্যারিফের খরচ বাড়ানো হল, তা দিনেদুপুরে ডাকাতি ছাড়া আর কিছু নয়। বাজওয়ার পর কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা কপিল সিব্বলও এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। কপিলের দাবি, সরকারের নীতিহীনতার জন্যই টেলিকম সংস্থাগুলি ধুঁকছে। সিব্বল বলছেন, সরকারের মদতে বাজারে জিও-র বাড়বাড়ন্তের পর টেলিকম সংস্থাগুলি টিকে থাকার জন্য ট্যারিফ কমাতে বাধ্য হয়েছে। প্রচুর লোকসানের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁদের। টেলিকম শিল্প ৮ লক্ষ কোটি টাকার লোকসানে ডুবে কেন? এ প্রশ্নের জবাব সরকারকেই দিতে হবে বলে দাবি কংগ্রেস সাংসদের।
উল্লেখ্য, প্রধান তিন টেলিকম সংস্থা ব্যাপক হারে দাম বাড়ানোয় সমস্যায় পড়বেন প্রায় ১০০ কোটি গ্রাহক। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে সরব হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.