Advertisement
Advertisement
Congress

‘এখন মোদির উচিত…’, ভারত-কানাডা সংঘাতের আবহে প্রধানমন্ত্রীকে কী বার্তা কংগ্রেসের?

ভারত-কানাডা দুদেশ থেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন কূটনীতিকরা।

Congress message to PM Modi amidst India-Canada diplomatic tiff

ফাইল ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:October 15, 2024 11:48 am
  • Updated:October 15, 2024 11:48 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ব্যাপক টানাপোড়েন ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। ইতিমধ্যে ৬ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে দুই দেশই। তার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতকে ‘নিজ্জরের সম্ভাব্য খুনি’ বলে তোপ দেগেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সময়ে বিরোধীদের পরামর্শ নিতে পারেন। কারণ গোটা বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

সোমবার কানাডার তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ‘স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যক্তি’। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। তার পরেই কানাডা সরকারের নিশানায় থাকা ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয়কুমার বর্মা ও অন্যান্য কূটনীতিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লিতে থাকা কানাডার ৬ কূটনীতিবিদকে দেশ ছাড়তে বলে বিদেশমন্ত্রক। ভারতের এই ঘোষণার পর পালটা দিয়ে ৬ ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে কানাডাও। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই নিজ্জর খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়। কানাডা পুলিশের তরফে এটাও বলা হয় যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ভারত। কানাডা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ব্রিজেট গভিন সাফ বলেন, কানাডার মাটিতে খলিস্তানপন্থীদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। তার জন্য ঘোষিত অপরাধীদের সাহায্য নিতেও পিছপা হচ্ছে না ভারত। ব্রিজেটের দাবি, “প্রত্যেকটি ঘটনার সঙ্গেই প্রকাশ্যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম জড়িয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারত সরকারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।”

সবমিলিয়ে, ভারত এবং কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফের ব্যাপক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তার প্রভাব পড়তে পারে কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের উপরেও। তাই গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত বলে দাবি কংগ্রেসের। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জয়রাম রমেশ বলেন,” কংগ্রেস আশা করছে এই সময়ে সংসদের দুই কক্ষের বিরোধী দলনেতা এবং অন্যান্যদের মতামত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ ভারত-কানাডা সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে দুই দেশের সম্পর্ক।” যদিও কানাডার একাধিক বিস্ফোরক দাবির জবাবে ভারতের তরফে এখনও কিছু বলা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করে মোদি সরকার, সেদিকে নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement