ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের রাস্তা খুলে দিল কংগ্রেস (Congress)। বিজেপিকে হারাতে ভবিষ্যতে এই জোট হলে তাকে আগাম স্বাগত জানিয়ে রাখলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাস (Pijush Kanti Biswas)। তবে, সেক্ষেত্রে তৃণমূলকে আগে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে উঠে আসতে হবে বলে মনে করছেন পীযুষবাবু।
এরাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিপুল জয়ের পর এবার ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে ত্রিপুরা জয়ের ব্যপারে বেশ ‘সিরিয়াস’ সেটা রাজ্যের একের পর এক তৃণমূল নেতার ত্রিপুরায় যাওয়া এবং জোরকদমে প্রচারের ধরন দেখলেই বোঝা যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ইতিমধ্যেই একাধিকবার পাশের রাজ্যে গিয়েছেন। তৃণমূলের অন্য নেতাদেরও রুটিন বেঁধে দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরায় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য। তৃণমূলের (TMC) এই প্রচারে সাড়াও মিলছে। ইতিমধ্যেই অন্যান্য দল থেকে বেশ কিছু নেতা ঘাসফুল শিবিরে যোগও দিয়েছেন।
রাজ্যে তৃণমূলের এই উত্থান এবং তাঁদের রুখতে বিজেপি (BJP) সরকার যে আচরণ করছে, তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বললেন, “এ রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রয়োজন হলে, তা হবে। আর তাকে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজ্যে তৃণমূলকে শক্তিশালী দল হিসাবে উঠে আসতে হবে।” তাঁর মূল্যায়ন, “দলটা সবে রাজ্যে রাজনীতি শুরু করেছে। আগে তারা শক্তিশালী হোক। একইসঙ্গে সতর্ক করেছেন দলবদলুদের নিয়ে।” বলেছেন, কংগ্রেসের নাম করে যাঁদের দলে নেওয়া হচ্ছে তাঁরা সবসময়ই যে কোনও দলের বোঝা। কখনও এ দল, কখনও সে দল করে বেড়ান। এঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের বহুদিন কোনও সম্পর্ক নেই।
বস্তুত ত্রিপুরায় কংগ্রেস (Congress) এখন প্রান্তিক শক্তি। সুদীপ রায়বর্মণ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সেরাজ্যে কংগ্রেসের শক্তিক্ষয় শুরু হয়েছে। মাঝখানে প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মার হাত ধরে কংগ্রেস শক্তিশালী হয়ে উঠছিল। কিন্তু তাঁর দলত্যাগের পর আবার তথৈবচ অবস্থা হাত শিবিরের। তৃণমূল আদৌ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহী হবে কিনা, সেটা নিয়েও সংশয় আছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.