সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় টানা তৃতীয় দিন ইডির (ED) জেরার মুখে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। যার জেরে এদিন কংগ্রেসের সদর দপ্তরের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান দলীয় সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে দফায় সংঘর্ষ হয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই সময় পুলিশকর্মীরা অনেকেই সদর দপ্তরের ঢুকে সমর্থকদের মারধর করে। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, দিল্লি পুলিশের ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বরখাস্ত করতে হবে ‘গুন্ডা’ পুলিশকর্মীদের।
এই বিষয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, “দিল্লি পুলিশ গুন্ডামি করেছে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে। মোদি সরকারের চরিত্রেরই উদাহরণ দিয়েছে তারা। জোর করে সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ে সমর্থক ও নেতাদের মারধর করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ ও মোদি সরকারের গুন্ডামি চরমে পৌঁছে গিয়েছে।” রণদীপ জানিয়েছেন, পুলিশের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে মৌন প্রতিবাদ জানাবে কংগ্রেস।এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরা রাজভবন ঘেরাও করবেন।
বস্তুত ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ইডির জেরার মুখে পরার পর থেকেই রাজধানী উত্তাল। কংগ্রেস কর্মীরা দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এদিন সকালে দিল্লির সদর দফতরের সামনেও বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। সুরজেওয়ালা-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপরে হামলা চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে দলের সদর দপ্তরে পুলিশ ঢোকার ভিডিও টুইট করেছেন এআইসিসি-র (AICC) সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল (KC Venugopal)। তাঁর মন্তব্য, “গণতন্ত্রকে হত্যা করছে দিল্লি পুলিশ।”
@DelhiPolice behaving like the private militia of the @BJP4India by entering the HQ of the @INCIndia pic.twitter.com/nAeb4320dr
— Karti P Chidambaram (@KartiPC) June 15, 2022
বেনুগোপালের পাশাপাশি পি চিদাম্বরমের ছেলে বিধায়ক কার্তি চিদাম্বরমও দলের সদর দপ্তরের অশান্তির ভিডিও টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দিল্লি পুলিশকে ‘বিজেপির সেনা’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এদিকে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। যার পরে শচীনের মন্তব্য, “গত তিনদিন ধরে কংগ্রেসকর্মীদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে পুলিশ, তা আগে দেখেনি। গণতন্ত্রের জন্য এটা খারাপ লক্ষণ।” পুলিশের উপরে হামলার প্রসঙ্গে পাইলটের মন্তব্য, “পালটা একই কাজই তো করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কিন্তু সরকার তথা প্রশাসনের।”
কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ঘটনার ভিডিও টুইট করে অভিযোগ জানালেও দলীয় সদর দপ্তরে ঢুকে নেতা-কর্মীদের মারধর করার কথা অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.