সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক সৌজন্য অতীত! এবার প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বসলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা কেএন রাজান্না। কর্ণাটকে (Karnataka) তাঁর আক্রমণের নিশানা ছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি(এস) নেতা এইচ ডি দেবেগৌড়া (HD Deve Gowda)। তাঁকে কটাক্ষ করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা বলে বসেন, “দেবেগৌড়াকে এখন দু’জনে ধরে ধরে নিয়ে যান। খুব শীঘ্রই তাঁকে চারজনে নিয়ে যাবেন।” অর্থাৎ ৮৮ বছর বয়সি বর্ষীয়ান নেতা মৃত্যুর কিনারায় দাঁড়িয়ে আছেন।
স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তুমুল সমালোচনায় সরব হয়েছে জেডি(এস), বিজেপি। যার দরুণ শেষপর্যন্ত কংগ্রেস নেতাকে ক্ষমা চাইতে হয়।
কর্ণাটকের টুমাকুরু জেলার মধুগিরির এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি কেএন রাজান্না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটাই আমার শেষ নির্বাচন। এরপর আপনারা অনুরোধ করলেও আমি আর ভোটে দাঁড়াব না। কারণ, এখনই আমার ৭২ বছর বয়স। ৫ বছর পর আমার বয়স হবে ৭৭। তখন আমার হাত-পা কাঁপবে।” সেই সময়ই মঞ্চের নিচের জনতার ভিড় থেকে ভেসে আসা এইচডি দেবেগৌড়ার নাম। দশর্কাসন থেকে আওয়াজ ওঠে যে দেবেগৌড়া এই বয়সেও সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন। ভোটে লড়াই করছেন। এই প্রেক্ষিতেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন ওই কংগ্রেস নেতা। কেএন রাজান্নার কথায়, “এখন তো দেবেগৌড়াকে দুজন ব্যক্তি ধরে নিয়ে যান। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে চার কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।”
জবাবে দেবেগৌড়া বলেন, “যারা বলেন দেবেগৌড়ার আর ক্ষমতা নেই, বয়স হয়েছে। তাঁদের কাছে বারবার আমাকে প্রমাণ করতে হয়, আমি এখনও সবল রয়েছি।” সমালোচনায় সরব হয়েছেন এইচডি কুমারস্বামীও। তাঁর কথায়, এই মন্তব্যে কংগ্রেসের নেতা অহংকার স্পষ্ট হয়। আমার বাবা বলে নয়, যে কোনও নেতাকেই এভাবে বলা ঠিক নয়।” কংগ্রেসের অন্দরেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শেষপর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কেএন রাজান্না। বলেন, দেবেদৌড়াকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। ওঁকে আঘাত করতে চাইনি। তারপরেও আমার মন্তব্য কাউকে আঘাত দিলে আমি দুঃখিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.