সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (NSA) বন্দি উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত চিকিৎসক কাফিল খানের (Kafeel Khan ) মুক্তির দাবিতে এবার সরব হলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। অবিলম্বে কাফিলকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা। অধীরের দাবি, কাফিল খানের প্রতি অবিচার এবং বৈষম্যমূলক আচরণ হচ্ছে। এভাবে আর যাই হোক, রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর বিআরডি হাসপাতালে একদিনে অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ গিয়েছিল ৬০ শিশুর। ক্ষমতায় আসার চার মাসের মাথায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাফিল খানকে। কিছুদিন বাদে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ন’মাসের জন্য জেল হেফাজতেও পাঠায় প্রশাসন। যদিও পরে কাফিলের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কাফিলের পালটা দাবি ছিল, প্রশাসনিক স্তরে দুর্নীতিকে আড়াল করতেই তাঁকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারপর থেকেই লাগাতার উত্তরপ্রদেশ তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে আসছেন কাফিল। কেন্দ্র সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করালে, এর প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই চিকিৎসক। একাধিক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে CAA’র বিরুদ্ধে ভাষণ দিতে শোনা যায় তাঁকে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের বক্তৃতা দেওয়ার জেরেই তাঁর উপর জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারি মুম্বই থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন থেকেই জেলে বন্দি তিনি।
কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরি মনে করছেন, কাফিল খানের প্রতি সরকার অন্যায় করছে। লঘু পাপে গুরুদণ্ড পাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে কংগ্রেস নেতা লিখেছেন,”জনবিরোধী CAA’র প্রতিবাদ আমিও করেছি, আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ করেছেন। কিন্তু সেই অপরাধে তো আমার বা অন্যদের বিরুদ্ধে NSA প্রয়োগ করা হয়নি। তাহলে ডাঃ কাফিল খানের বিরুদ্ধে কেন এই আইন প্রয়োগ করা হল? এভাবে অবিচার আর বৈষম্যের দ্বারা কখনও রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করা যায় না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.