সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগের কথা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) এই সমস্যা নিয়ে চিঠিও লিখেছেন। কিন্তু শুধু রাজনীতির বুলি আওড়েই থেমে যাননি বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। গোয়া, কেরল, উত্তরাখণ্ড, বিহার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা বাঙালি শ্রমিকদের সাহায্য করতে কার্যত সমান্তরাল সরকারের মতো কাজ করছেন তিনি। সাহায্য করছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের। নিজের দিল্লির বাড়িটিকেই যেন কন্ট্রোল রুম বানিয়ে ফেলেছেন অধীর। দিনভর দেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে ফোন। আর ফোন পেয়েই সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন ‘দাদা’।
অধীরবাবু একা নন, তার স্ত্রী অতসী, এবং দিল্লি অফিসের কর্মীরা সকলেই নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। অধীরবাবু বলছিলেন, ” প্রতিদিন শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই ৫০০-৬০০ ফোন আসছে। কেউ কেউ ফোন করে কেঁদেও ফেলছেন। কারও সন্তান ভিনরাজ্যে আটকে আছেন, তো কারো দু’বেলা খাবার জুটছে না। আমার লোকসভা কেন্দ্র বহরমপুরের মানুষ কেউ বড়লোক নয়। অধিকাংশই শ্রমিক শ্রেণির। সময় এসেছে এদের সাহায্য করার।” পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলছেন, রাজ্য থেকে কারা কারা বাইরে আটকে আছেন, তাদের কোনো তথ্য রাজ্য সরকারের হাতে নেই। সরকার সেই তথ্য সংগ্রহের চেষ্টাও করছে না। এটা উদ্বেগের বিষয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা বাঙালিদের সাহায্য করতে দিন রাত এক করে তথ্য সংগ্রহ করছে অধীর চৌধুরির টিম। খবর পাওয়ার পর ব্যক্তিগত যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে ওই এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছেন তিনি। কোথাও কথা বলছেন স্থানীয় মুখ্যসচিব, ডিজি, আইজি, জেলাশাসকদের সঙ্গে। কোথাও মোবাইলে ধরছেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক, সাংসদদের। প্রয়োজনে সাহায্য চাইছেন বিরোধী সাংসদদের কাছেও। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা বলছিলেন, “বিজেপি সাংসদদের দ্বারস্থ হতেও পিছপা হচ্ছি না আমি। কারণ এই সময় ওঁরাও আমার বন্ধু। ওঁরাও মানুষকে সাহায্য করছে সবরকমভাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.