সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালচকের ক্লক টাওয়ারেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রবিবার যাত্রা শেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।এই অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস (Congress)। সেই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। কাশ্মীরের পরিস্থিতি যদি সত্যিই ভাল হয়ে থাকে, তাহলে জম্মু থেকে লাল চক পর্যন্ত হেঁটে দেখান- এমনটাই বললেন রাহুল গান্ধী। ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কাশ্মীরে ঢোকার পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। তবে প্রত্যেকবারই সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রশাসিত কাশ্মীরের পুলিশ।
সোমবারই ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি। তার আগেই যাত্রার শেষ দিনে লালচকে পতাকা উত্তোলন করলেন রাহুল। যদিও প্রথমে কংগ্রেসের দপ্তরে পতাকা তোলার কথা ছিল। পরে জয়রাম রমেশ টুইট করে জানান, “৩০ জানুয়ারি কংগ্রেসের দপ্তরে পতাকা উত্তোলনের পরিকল্পনা ছিল, কারণ অন্য কোথাও এই অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ২৯ তারিখ লালচকে পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।” তারপরেই পতাকা তোলার অনুষ্ঠান একদিন এগিয়ে আনা হয়।
রবিবার যাত্রা শেষ করে লালচকে পৌঁছন কংগ্রেস নেতারা।এদিনের যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় সমস্ত দোকান বন্ধ রাখা হয়।নির্দিষ্ট সময়ে লালচকে পৌঁছে পতাকা উত্তোলন করেন রাহুল। তারপর হিন্দিতে টুইট করেন,” লালচকে তেরঙ্গা উত্তোলন করে একটা প্রতিজ্ঞা পূরণ করলাম। ভালবাসার কাছে ঘৃণা সবসময় হারবে। নতুন আশার ভোর দেখবে ভারত।” তবে বিতর্কও রয়েছে। দেখা যায়, তেরঙ্গার চেয়েও বড় ছিল রাহুল গান্ধীর কাটআউট। তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে কংগ্রেস।
অন্যদিকে যাত্রা শেষের আগের দিনই প্রকাশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বার্তা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে ভারত জোড়ো যাত্রা স্থগিত রেখেছিল কংগ্রেস। এই অভিযোগ অস্বীকার করে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়ে দেয়, তাদের তরফে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ত্রুটি ছিল না। কংগ্রেস যাদের অনুমতি দিয়েছিল তাদেরই যাত্রায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু রাহুল গান্ধী বলেন, “কাশ্মীরে মোটেও সবকিছু ঠিক নেই। যদি সব স্বাভাবিক থাকে তাহলে অমিত শাহ নিজে এসে জম্মু থেকে লালচক পর্যন্ত হেঁটে যান।” প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের পরিবেশ একেবারে শান্তিপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.