সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ বছরের পরিশ্রম মাত্র ১৫ মাসে মাটি হয়ে গিয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ‘বেইমানি’তে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু কমল নাথ (Kamal Nath) চুপচাপ বসে থাকার লোক নন। সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) বিরুদ্ধে বদলা নিতে এবং ভোপালের কুরসি ফিরে পেতে মরিয়া তিনি। তাই উপনির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে কোমর বেঁধে নামছে কংগ্রেস। আর সেই লক্ষ্যে রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নির্বাচনী পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor)।
আগামী চারমাসের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ২৪টি আসনে উপনির্বাচন। এর মধ্যে ২২টি কেন্দ্রে সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠরা পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রীও হয়েছেন। রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে বিজেপি অন্তত অর্ধেক আসনে জিততে চাইবে। কারণ, এই মুহূর্তে নির্দল, সপা ও বসপা বিধায়কদের ভরসায় চলছে সরকার। যাদের খুব বেশি ভরসা করা যায় না। অন্যদিকে কংগ্রেস চাইছে সিন্ধিয়ার গড়ের এই ২২টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসন দখল করতে। সেই লক্ষ্যে তিন ধাপে পরিকল্পনা করেছে তাঁরা। প্রথম ধাপে রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। দ্বিতীয় ধাপে, প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কর্পোরেট সংস্থাকে। এবং তৃতীয় ধাপে দলের বর্ষীয়ান নেতাদের ফিরিয়ে এনে সিন্ধিয়া সমর্থকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামানো। এই পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদেরও দলে টানার চেষ্টা করছে হাত শিবির। কংগ্রেসের বিশ্বাস, নিজেদের ১৫ মাসের কাজের প্রচার সঠিকভাবে করলেই সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠদের হারিয়ে দেওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে সিন্ধিয়ার যোগদানের ফলে যে বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁদের ক্ষোভকেও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছে হাত শিবির। তাছাড়া, শেষবার লোকসভা নির্বাচনে নিজের গুণা কেন্দ্রেই পরাস্ত হয়েছেন সিন্ধিয়া। তাই তাঁকে হারানো যাবে না, এমন নয়।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রশান্ত কিশো। রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে তাঁর ঈর্ষণীয় রেকর্ড আশা জাগাচ্ছে কংগ্রেস কর্মীদের মনে। প্রশান্তের পাশাপাশি দলের পুরনো নেতাদেরও সক্রিয় করছে কংগ্রেস। ভোটের ময়দানে নামানো হচ্ছে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা অজয় সিং, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত, প্রাক্তন সাংসদ প্রেমচাঁদ গুড্ডু, মীনাক্ষী নটরাজন এবং প্রভাবশালী ব্রাহ্মণ নেতা অশোক সিং-প্রমুখদের। উল্লেখ্য, সিন্ধিয়া থাকাকালীন এরা অনেকেই দলে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন। তাই এদেরও বদলা নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.