Advertisement
Advertisement

Breaking News

Congress G23

পাঁচ রাজ্যে ভরাডুবির পর ফের সক্রিয় কংগ্রেসের ‘G-23’ নেতারা, উঠছে নেতৃত্ব বদলের দাবি

এই বয়সে এসে দলের এই হাল সহ্য করতে পারছি না, বললেন গুলাম নবি আজাদ।

Congress G23 leaders meet, may target party top leadership | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 12, 2022 12:09 pm
  • Updated:March 12, 2022 12:09 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: পালটাতে হবে সংগঠনের খোলনলচে। তার জন্য দ্রুত ডাকা হোক কর্মসমিতির বৈঠক। দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে এই দাবি করলেন কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারা। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৫টি নির্বাচনে হেরেছে কংগ্রেস। নয় থেকে কমে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে এসে ঠেকেছে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। পাঁচ রাজ্যে সর্বশেষ ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে বৈঠক করলেন ‘জি-২৩ গ্রুপে’র (Congress G-23) তিন নেতা আনন্দ শর্মা, কপিল সিবল ও মণীশ তিওয়ারি।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকেই ঠিক হয় জাতীয় রাজনীতিতে দলকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে দ্রুত সংগঠনকে ঢেলে সাজানো ও কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার দাবি করা হবে। উল্লেখ্য, ফল ঘোষণার পরই দলের তরফে জানানো হয়েছিল, নির্বাচনের পর্যবেক্ষণ করতে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকবেন সোনিয়া (Sonia Gandhi)। সেই বৈঠক ডাকতে যাতে অহেতুক কালবিলম্ব করা না হয়, সেই দাবিই উঠল। পূর্ণ সময়ের সভাপতি নিয়োগ ও সংগঠনের পরিবর্তন চেয়ে বছর দুয়েক আগে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন কংগ্রেসের ২৩ নেতা। এরপর থেকেই তাঁদের গায়ে লেগে যায় ‘জি-২৩’ ছাপ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ফের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ খুঁজছে বিজেপি? দলের অন্দরে শুরু জল্পনা]

বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য না করলেও গুলাম নবি আজাদ জানিয়েছেন, “এই শোচনীয় পরাজয়ের ফলে ভিতর ভিতর আমি রক্তাক্ত হচ্ছি। দলের জন্য গোটা জীবনটা উৎসর্গ করার পর এই বয়সে এসে এই হাল সহ্য করতে পারছি না। আশা করব এই ভুলগুলো থেকে দল দ্রুত শিক্ষা নেবে ও আমরা যে কথাটা বারবার বলে আসছি, সেই মতো কাজ করা হবে।” টুইটে শশী থারুর (Shashi Tharoor) জানিয়েছেন, “সাফল্য পেতে হলে দলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।” সলমন খুরশিদের বক্তব্য, “কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না। মনে হচ্ছে যেন একটা ঘোরের মধ্যে আছি।”

[আরও পড়ুন: ‘দেখিয়ে দিলাম বিজেপিরও আসন কমানো যায়’, হেরেও অখুশি নন অখিলেশ]

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেন, “যেভাবে নির্বাচনে লড়লাম আমরা, তাতেই ফলাফল স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দলটা শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন মুখ আনতে হবে। তাহলে যদি কিছু করা যায়।” উত্তরপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, “প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২০৯টি জনসভা করলেন। উনি আর রাহুল হাথরসে গিয়েছিলেন। লখিমপুর খেরি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। কী হল? জনগণ ওদের একেবারেই নিচ্ছে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement