সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা মতোই ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝি করুণা শুক্লা। তবে, চমকটা অন্য জায়গায়। যার তার বিরুদ্ধে নয়, শুক্লা লড়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস আত্মবিশ্বাসী, মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দেবেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়া।
সোমবার ছত্তিশগড়ে প্রথম পর্বের ভোটের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। দ্বিতীয় তালিকায় মোট ৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ১২ টি কেন্দ্রে আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। চমকপ্রদভাবে দেখা গিয়েছে, বাজপেয়ীর ভাইঝি লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের কেন্দ্র রাজনন্দাগাঁও থেকে। এই কেন্দ্র থেকে জিতেই তিন বার ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন রমন সিং। রাজ্যের এক কংগ্রেস নেতা বলছেন, বিজেপি ছেড়ে দলে যোগদানের পর থেকেই এই কেন্দ্রে প্রচুর কাজ করেছেন করুণা। তাই তাঁরা আশাবাদী শুধু রমন সিংকে কড়া টক্কর দেওয়াই নয়, শুক্লা ওই আসনটি থেকে জিতবেন। ২০০৪ সালে বিজেপির টিকিটে ছত্তিশগড় থেকে সাংসদ হয়েছিলেন শুক্লা। ২০০৯ সালে তিনি ভোটে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে। ২০১৩ সালে তিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে চলেছেন এই নেত্রী।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বিজেপির বাজপেয়ী আবেগকে অকেজো করে দিতেই শুক্লাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের।
বাজপেয়ীর মৃত্যুর পর তাঁর আবেগকে কাজে লাগাতে নানাভাবে আসরে নেমেছে বিজেপি। কখনও জায়গার নাম বদলে, কখনও অস্থিকলস যাত্রা করে। কিন্তু এসবের তীব্র সমালোচনা করে শিরোনামে এসেছিলেন শুক্লা। তাঁর দাবি ছিল, বাজপেয়ীকে নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। ভিডিও বার্তায় শুক্লা বলেন, “বিজেপি ভাবছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে আসন্ন চার রাজ্যের নির্বাচনের বৈতরণী পার করে ফেলবেন তারা। আর সেকারণেই বাজপেয়ীর নামে রাজনীতি চলছে। গত ৯ বছরে একবার বাজপেয়ীর নাম নেননি প্রধানমন্ত্রী। প্রথমবার মোদির মুখে বাজপেয়ীজির নাম শুনেছিলাম এবছর স্বাধীনতা দিবসে। কারণ তিনি এইমসে অসুস্থ অবস্থায় ভরতি ছিলেন। গত চারবছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে এবং কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আছে তবু বাজপেয়ীজির কথা ওদের মনে করেনি। এখন তাঁর নাম ব্যবহার করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.