বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: মহারাষ্ট্রের ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। এবং তা হয়েছে সরকারি মদতে। এমনকী, ভোটগ্রহণ ও গণনার সময়ও কারচুপি হয়েছে বলে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাল কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির নেতৃত্বে দলের এক প্রতিনিধি দল কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে।
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল কংগ্রেস। ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে গণনা, সব ক্ষেত্রেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলা হয় কংগ্রেসের তরফে। অভিযোগগুলি নিয়ে আলোচনা করতে হাত শিবিরকে সময় দেয় কমিশন। এদিন কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভোট সংক্রান্ত সব তথ্য অবিকৃতভাবে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। হাত শিবিরের ধারণা, পরে ওই তথ্যে অনেক জল মেশানো হয়েছে।
এদিন কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় ৬ মাস আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় থেকেই কারচুপি শুরু হয়েছিল। কারণ ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময় দেখা যায় প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ১০ হাজার করে নতুন ভোটার সংযোজিত হয়েছে। আবার লক্ষ্যনীয়ভাবে ভোটগ্রহণের দিন আচমকাই শতাংশের হার বেড়ে যায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটার তালিকায় ব্যাপক পরিমান ভুয়ো ভোটারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের শাসক জোটের মদতে প্রচুর জাল আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। ফলে রাজ্যের সব কেন্দ্রেই ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। গত ৬ মাসে প্রায় ৪৭ লক্ষ নতুন ভোটার সংযোজিত হয় তালিকায়। এমন ৫০টি আসন রয়েছে সেখানে গড়ে ৫০ হাজার করে ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলা হয়, তুজলাপুর আসনে একই ব্যক্তি বিভিন্ন পরিচয়ে ভোটার কার্ড বানিয়ে ভোট দেয়। হাত শিবিরের দাবি, এই আসনে ৯৯ সাল থেকে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়ে আসছেন। এবার তিনিই ৩৭ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আরও অভিযেগ, ভোটগ্রহণের দিন কমিশনের তরফে ৫টার সময় জানান হয় ৫৮.২২ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানে রাত ১১টায় জানান হয়, শতাংশের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৫.০২। পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি কার্যত অসম্ভব।
বৈঠক শেষে অভিষেক মনু সিংভি জানান, “আমাদের তরফ থেকে গুলি করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.