Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রাম্পের লাইব্রেরি খোঁচায় মোদির সমর্থনে কংগ্রেস

ট্রাম্পের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে দিল্লিও৷

Congress defends Modi on Trump's library barb
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 4, 2019 11:02 am
  • Updated:January 4, 2019 11:02 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির ময়দানে চরম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও লাইব্রেরি বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস৷ ট্রাম্পের লাইব্রেরি খোঁচা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দলটি৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য কখনওই কাম্য ও রুচিকর নয় বলে মন্তব্য করেছে কংগ্রেস৷ পাশাপাশি ট্রাম্পের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে দিল্লিও৷

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে যে ভাষা ও সুর ট্রাম্পের মুখে শুনা গিয়েছে তা সুরুচির পরিচয় দেয় না৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এহেন বয়ান কখনওই মেনে নেওয়া যায় না৷ আমি আশা করি আমাদের সরকার এর কড়া জবাব দেবে৷ আমেরিকার মনে রাখা উচিত, ২০০৪ সাল থেকে আফগানিস্তানকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য প্রদান করেছে ভারত৷” শুধু প্যাটেলই নয়, ট্রাম্পকে কড়া জবাব দিয়েছেন আরও এক কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা৷ সৌজন্যের ধার না ধরে তিনি সাফ বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মশকরা বন্ধ করুন৷ আমাদের আমেরিকার বাণীর প্রয়োজন নেই৷ মনমোহন সিংয়ের আমল থেকেই আফগান ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশ৷” এমনিতে রাফালে ও চপার কেলেঙ্কারি নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে লড়াই চলছে৷ তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে এক নয়া বার্তা দিল কংগ্রেস৷ এতে মণিশংকর আইয়ার ও সিধুর পাকিস্তানপ্রীতির গ্লানি কিছুটা হলেও মুছতে পারবে দল বলেই মনে করা হচ্ছে৷

Advertisement

উল্লেখ্য, সদ্য যুদ্ধ জর্জরিত আফগানিস্তানে ভারতের তৈরি লাইব্রেরিগুলির কোনও কাজে লাগছে না বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প৷ তিনি বলেছিলেন, “আফগানিস্তানে ভারত একটি লাইব্রেরি তৈরি করেছে। তা সেটি মনে হয় না কোনও কাজে লাগছে। জানি না সেটি কে ব্যবহার করছে। আমাকেও বহুবার ওই দেশটিতে লাইব্রেরি তৈরির জন্য অনুরোধ করেছেন মোদি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পরই দেখা দেয় বিতর্ক৷ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় দিল্লি৷ প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমল থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে থাকে দিল্লি। ওবামা ও মোদির আমলে তা আরও দৃঢ় হয়।একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। তবে ট্রাম্পের এহেন আলটপকা মন্তব্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

[দিল্লি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা অজয় মাকেনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement