সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কোনও প্রকারের অসুবিধা নেই তাঁদের৷ মঙ্গলবার স্পষ্ট ভাষায় তা জানাল কংগ্রেস৷ তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছেন দলের শীর্ষ নেতা তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট৷ তিনি বলেন, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করতে গেলে বর্তমান লোকসভাকে ভেঙে দিতে হবে এবং দেশের সাধারণ নির্বাচনকে এগিয়ে আনতে হবে৷ কারণ, চারটি রাজ্যের বিধানসভা চলতি বছরের শেষেই মেয়াদপূর্ণ করছে৷ যদিও এই প্রক্রিয়ায় সার্থকতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার৷
[স্বাধীনতা দিবসের আগে উত্তপ্ত শ্রীনগর, তেরঙ্গা ওড়ানোর বিরোধীতা স্থানীয়দের]
সোমবার থেকেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক৷ জল্পনা তৈরি হয়েছে অমিত শাহের একটি চিঠিকে ঘিরে৷ শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নাকি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে ১১ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করিয়ে নিতে চাইছে। এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ নাকি আইন কমিশনের দ্বারস্থও হয়েছেন। যদিও মঙ্গলবার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি৷ দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানান, ১১ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন করার কথা বলেনি তাঁদের দল৷ সবটাই বিরোধীদের রটনা ও কুৎসা৷ আইন কমিশনে দেওয়া অমিত শাহর চিঠিও সংবাদমাধ্যমের সামনে পেশ করেন তিনি৷ বলেন, চিঠিতে কোথাও লেখা নেই যে পদ্মশিবির একইসঙ্গে ১১ রাজ্যের নির্বাচন করার কথা বলছে৷ পাশাপাশি সম্বিত পাত্র এও জানান, বিজেপি সর্বদাই এক রাষ্ট্র, এক নির্বাচনের পক্ষে৷
[আকাশপথে মৃত্যুদূতের হানা, স্বাধীনতা দিবসে হাড়হিম করা সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের ]
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন হবে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মিজোরামে৷ পরের বছর বিধানসভা নির্বাচন তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে৷ ২০১৯-এর লোকসভার সঙ্গে ওই বিধানসভা করানো যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠক করে বিজেপি-কংগ্রেস ও আইন কমিশন৷ সেই বৈঠকে অমিত শাহ একটি চিঠি পেশ করেন কমিশনের কাছে৷ আর তা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.