সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসকে নিঃশেষ হয়ে যেতে দেওয়া যায় না। কংগ্রেসের মৃত্যু হতে পারে একমাত্র এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরই। সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) তথা কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের শুরুতে ঠিক এই কথাগুলিই বলেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির সবচেয়ে বড় শক্তি তুলে ধরেছেন পিকে। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) যে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন, সেটা এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। গত কয়েকদিন নিয়মিতভাবে তিনি কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে চলেছেন। কিন্তু পিকে ঠিক কোন ভূমিকায় বা কীভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হবেন, পিকে (PK) সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দেবেন, নাকি পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করবেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে পিকে যে রোডম্যাপ তৈরি করেছেন সেটা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দ হয়েছে বলেই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
নিজের প্রেজেন্টেশনে পিকে কংগ্রেস (Congress) নেতাদের দলের শক্তির জায়গাগুলি মনে করান। বুঝিয়ে দেন, কংগ্রেসকে ভারত থেকে মুছে যেতে দেওয়া যাবে না। তাঁর বক্তব্য,”কংগ্রেসকে এভাবে মরতে দেওয়া যায় না। যত দিন দেশ থাকবে, কংগ্রেসও (Congress) থাকবে।” প্রশান্ত মনে করিয়ে দেন, কংগ্রেস এখনও দেশের একাধিক রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। তিনটি রাজ্যে শাসক জোটে আছে হাত শিবির। অন্তত ১৩ রাজ্যে কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। লোকসভা, রাজ্যসভা মিলিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা নব্বইয়ের কাছাকাছি। দেশে ৮০০ জন বিধায়ক আছেন। পিকের বক্তব্য, এখন থেকে পরিকল্পনা শুরু করলে ২০২৪-এই ঘুরে দাঁড়াতে পারে কংগ্রেস।
বলে রাখা ভাল, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক কী হতে চলেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল রীতিমতো সরগরম। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস নাকি পিকে’কে সরাসরি দলে যোগ দেওয়ারই প্রস্তাব দিয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন পিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.