সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়। তিন রাজ্য থেকেই ভালো ফলাফল প্রত্যাশা করেছিল কংগ্রেস। বিশেষ করে ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশে। খোদ রাহুল গান্ধী বুক বাজিয়ে বলে গিয়েছিলেন এই দুই রাজ্যে কংগ্রেস জিতছেই। বরং রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানায় জয়ের ব্যাপারে সেভাবে আত্মবিশ্বাস দেখায়নি কংগ্রেস। অথচ ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, গোবলয়ে চূড়ান্ত হতাশাজনক ফল কংগ্রেসের। সেখানে সামান্য সান্ত্বনার জায়গা তেলেঙ্গানা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে তেলেঙ্গানায় একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে কংগ্রেস। ট্রেন্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ারও ইঙ্গিত রয়েছে। সব ঠিক থাকলে সরকার গঠনে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে ভরাডুবির দিন এই একটাই সান্ত্বনা কংগ্রেসের। এই মুহূর্তে দক্ষিণের দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় কংগ্রেস। গোটা গোবলয় অর্থাৎ উত্তর ভারত যেখানে কার্যত কংগ্রেস মুক্ত, সেখানে দক্ষিণে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছে হাত শিবির।
আবার তেলেঙ্গানার ফলাফল আরও একটা দিক থেকে স্বস্তি দেবে সেটা হল দক্ষিণ ভারতে বিজেপির দুর্বল হয়ে যাওয়া। মাস ছয়েক আগেও তেলেঙ্গানায় বিজেপির ভালো হাওয়া ছিল। এমনকী কংগ্রেসকে সরিয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসার দৌড়েও ছিল গেরুয়া শিবির। হায়দরাবাদ পুর নিগমের নির্বাচনে সেটা দেখাও যায়। বিআরএসের পর দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপিই। অথচ মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে সেই বিজেপি নেমে এল এক সংখ্যার আসনে। ফলে দক্ষিণের কোনও রাজ্যেই সেভাবে প্রভাব রইল না বিজেপির।
৬ মাস আগে পর্যন্ত কর্নাটকে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। তেলেঙ্গানাতেও ভালো লড়াইয়ে ছিল দল। কর্নাটক-তেলেঙ্গানার প্রভাবে তামিলনাড়ুতেও প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছিল। ছ’মাসের মধ্যে দুই রাজ্যে ধাক্কা খেয়ে যাওয়ায় তামিলভূমে নতুন করে সংগঠন গড়ার স্বপ্নও ধাক্কা খাবে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে, দক্ষিণ ভারতের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বিজেপির জন্য। লোকসভার আগে সেটাই সম্ভবত একমাত্র সান্ত্বনা কংগ্রেসের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.