সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির সংসদীয় বোর্ড থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর নীতীন গড়করি (Nitin Gadkari) যেন কংগ্রেসের ‘প্রিয়পাত্র’ হয়ে উঠেছেন। নিজের দলের শীর্ষ কমিটি থেকে বাদ পড়ার পর থেকে গড়করি পুরোপুরি নীরব। অথচ তাঁর হয়ে গলা ফাটাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস (Congress)। সেটা অবশ্য মোদিকে আক্রমণ করার স্বার্থেই। কংগ্রেস বলছে, মোদির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে আসার জেরেই ‘শাস্তি’ পেতে হয়েছে গড়করিকে।
जो प्रधानमंत्री का प्रतिद्वंद्वी होगा, उसको बाहर का रास्ता दिखा दिया जाएगा।
यही हुआ है नितिन गडकरी के साथ। pic.twitter.com/eRJX5hoHGD
— Congress (@INCIndia) August 18, 2022
সদ্যই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সংসদীয় বোর্ডে বড়সড় রদবদল করেছে বিজেপি। কার্যত রীতি ভেঙে সংসদীয় বোর্ড থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁকে। সংঘ ঘনিষ্ঠ এই নেতা এই মুহূর্তে মোদি (Narendra Modi) মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যদের মধ্যে একজন। একটা সময় দলের সভাপতিও ছিলেন। সাধারণত বিজেপির (BJP) সভাপতিরা যতদিন সক্রিয় রাজনীতিতে থাকেন, ততদিন তাঁদের দলের সংসদীয় বোর্ডে রাখা হয়। কিন্তু গড়করিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছিলই। সেটা উসকে দিল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার দলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে প্রশ্ন তোলা হল, বিজেপি কেন সংসদীয় বোর্ড থেকে গড়করিকে সরিয়ে দিল? জবাবও তারা নিজেরাই দিয়েছে। কংগ্রেস বলছে,”যারা যারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে, তাঁদেরই সরিয়ে দেওয়া হবে। নীতীন গড়করির সঙ্গেও তেমনটাই হয়েছে।” আসলে গড়করি মোদি-শাহদের (Amit Shah) ঘরানার নেতা নন। তিনি বিজেপির পুরনো বাজপেয়ী পন্থী নেতা।অতীতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একাধিকবার বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বকে খোঁচাও দিয়েছেন। সম্ভবত সেকারণেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গড়করিকে। যা প্রকাশ্যে এনে বিজেপির মধ্যে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব আরও উসকে দিতে চাইছে কংগ্রেস।
বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে আরেকজনের না থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি যোগী আদিত্যনাথ। দু’বার উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপিকে প্রচুর লোকসভা (Lok Sabha) আসন এনে দেওয়ার পরও তিনি ব্রাত্য। যোগীর সংসদীয় বোর্ডে না থাকার কারণও সেই বিরোধী স্বরকে উঠতে না দেওয়ার প্রবণতা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.