সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি সংগঠন। শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেই অনুষ্ঠানটি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষকদের ওই সংগঠন।
কংগ্রেস সমর্থিত শিক্ষক সংগঠনটির দাবি, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরের পরিস্থিতি তপ্ত। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে। তিনি সম্পূর্ণ নীরব। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রতিবাদেই এই বয়কটের সিদ্ধান্ত বলে আইএনটিইউসি’র তরফে দাবি করা হয়েছে।
বুধবার সংগঠনের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, মণিপুর নিয়ে ভারত সরকারের উদাসীন মনোভাব অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে মণিপুরে (Manipur) যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে, তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু মণিপুরি ছাত্রছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। পরিবার থেকে বহু দূরে তাঁরা পড়াশোনা করেন। কিন্তু, নিজের রাজ্যের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য তাতে ঠিকমতো মনোনিবেশ করতে পারছেন না। এত কিছু হওয়ার পরও দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি বাক্যও খরচ করেননি। এমনকী, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা কতটা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে আসছে। মণিপুরের প্রতিটি মানুষ বিভিন্নভাবে আক্রান্ত, ক্ষতিগ্রস্ত। প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদাসীন মনোভাবের প্রতিবাদেই বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান নিয়ে আরও একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান। তার প্রস্তুতি সারতে বৃহস্পতিবার ইদের দিন বহু কর্মীর ছুটি বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.