ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ওমিক্রনে (Omicron) এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এঁদের একজন রাজস্থানের। বাকি দু’জন মহারাষ্ট্রের মুম্বই ও পুণের বাসিন্দা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, দেশে করোনার (Coronavirus) নতুন প্রজাতিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে শুধু একজনের। তিনি মরুরাজ্যের নাগরিক।
দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৩ কোটি ৪৩ লক্ষের বেশি। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৫৫১ জনের। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের তথ্য রোজ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। সেখানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা নগণ্য। তবু কেন মৃত্যুসংখ্যা নিয়ে মতপার্থক্য? মুম্বই ও পুণে- মহারাষ্ট্রের এই দুই জেলা প্রশাসনই দু’জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে। তবে কেন এড়িয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়ালের বক্তব্য, “আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত একজনেরই মৃত্যুর খবর এসেছে। রাজস্থানের সেই ব্যক্তি বয়স্ক। তাঁর কোমর্বিডিটি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন ৭৩ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি। মৃত্যুর পর রিপোর্ট আসে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন। আমরা আগে থেকেই সরল নিয়ম মেনে এসেছি। কারও মৃত্যুর পরও যদি রিপোর্টে জানা যায় তিনি কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন, তাহলে সেই মৃত্যুকে কোভিড মৃত্যু হিসাবেই চিহ্নিত করতে হবে। সেই ফর্মুলা মেনে রাজস্থানের ব্যক্তির মৃত্যুর জন্যও আমরা ওমিক্রনকেই কারণ হিসাবে ধরব।”
এ তো না হয় গেল, মরুভূমির রাজ্যের ব্যক্তির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সংক্রান্ত বিষয়। কিন্তু কেন কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট জেলার বক্তব্যে পার্থক্য দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক অবশ্য এর দায় ঠেলে দিলেন রাজ্যগুলির উপর। আরও একবার খাড়া করলেন রাজ্যগুলির থেকে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য না পাঠানোর অভিযোগ।
নির্মাণ ভবনের অন্দর থেকে জানা গেল, প্রায় ১৪টি রাজ্য সঠিক সময়ে তাদের কোভিড সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রের কাছে পাঠাচ্ছে না। যার জন্য আক্রান্তের হার, ধরন-সহ অন্যান্য বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে সমস্যা হচ্ছে কেন্দ্রের। বছরের প্রথম দিনই এই ১৪ রাজ্যের কাছে আরও একবার সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পাঠানোর নির্দেশ গিয়েছে নির্মাণ ভবন থেকে। উল্লেখ্য, রাজস্থানে প্রয়াত ব্যক্তির মতো মহারাষ্ট্রের দু’জনেরও মৃত্যুর পর জানা যায় তাঁরা ওমিক্রন পজিটিভ ছিলেন। আরব সাগরপারের রাজ্যের দুই বাসিন্দার মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.