Advertisement
Advertisement
IAF chief warns China

ভারতের সঙ্গে লড়লে চিনের ক্ষতিই হবে, কড়া বার্তা বায়ুসেনা প্রধান ভাদুরিয়ার

লালফৌজকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ভারতীয় জওয়ানরা তৈরি রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

'Conflict with India not good for China at global front': IAF chief’s tough message। Sangbad Pratdin
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 29, 2020 9:25 pm
  • Updated:December 29, 2020 9:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘চিন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিপন্ন করতে চায়। ভারতের সঙ্গে লড়াই করলে কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্যপূরণ হবে না।’ মঙ্গলবার বেজিংকে সতর্ক করে এই মন্তব্যই করলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদুরিয়া (RKS Bhadauria)।

লাদাখে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই ভারত ও চিন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দু’পক্ষই নিজেদের সীমান্তে সেনা মোতায়েন থেকে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এপ্রসঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, ‘গোটা বিশ্বের সামনে ভারতের সঙ্গে কোনও গুরুতর লড়াই চিনের পক্ষে ভাল হবে না। যদি চিনের লক্ষ্য বিশ্বের মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করা হয় তাহলে এই পরিকল্পনা তার ক্ষতি করবে। উত্তরের দেশগুলির সম্পর্কে চিনের পরিকল্পনা রয়েছে তাত বদলে যাবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে তারা যা অর্জন করেছে তাকে আমরা মান্যতা দিই।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতনের জের, অভিযুক্ত যুবককে নগ্ন করে ঘোরানোয় উত্তেজনা রাজস্থানে]

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় লালফৌজের প্রচুর সদস্যকে মোতায়েন করেছে চিন। অনেক রাডার লাগানোর পাশাপাশি, ভূমি থেকে আকাশ ও ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরিকাঠামো তৈরি করেছে বলেই ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সূত্রে খবর। মঙ্গলবার সেই কথা সত্যি বলে জানিয়ে এয়ার চিফ মার্শাল (Air Chief Marshal) আরকেএস ভাদুরিয়া বলেন, ‘ওদের তরফে চূড়ান্ত তৎপরতা দেখা গিয়েছে। তবে আমাদের তরফেও সমস্তরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

পাকিস্তানকে চিনের ব্যবহৃত একটা দাবার বোড়ে বলেও মঙ্গলবার কটাক্ষ করে তিনি। এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রমশ চিনের হাতের দাবার বোডে পরিণত হচ্ছে। অর্থনৈতিক করিডর বানানোর নামে ঋণের ফাঁদে ফেলে ইসলামাবাদকে পুরোপুরি নিজেদের প্রতি নির্ভরশীল করে তুলছে চিন। পরিস্থিতি এমন দিকে গিয়েছে যে সামরিক দিক থেকেও বেজিংকে ভরসা করতে বাধ্য হচ্ছে ইসলামাবাদ। এখন আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর পাকিস্তানকে দিয়ে সেখানেও প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিন।’

[আরও পড়ুন: ‘সংবিধানে লাভ জেহাদের কোনও উল্লেখই নেই’, বিজেপিকে তোপ ওয়েইসির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement