Advertisement
Advertisement
গোষ্ঠী সংক্রমণ

ভারতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ, বিশেষজ্ঞদের দাবিতে বাড়ছে উদ্বেগ

সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে সপ্তম স্থানে রয়েছে ভারত।

Community transmission of Covid-19 has started says health Experts
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 1, 2020 5:18 pm
  • Updated:June 1, 2020 6:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মধ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের মাত্রা। দীর্ঘ দু`মাস জনসাধারণকে গৃহবন্দি করে রাখার পরও রোখা যায়নি ভাইরাসের গতিবেগ। এর মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের মত ভারতে শুরু হয়ে গেছে গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission)। তার জেরেই বিশ্বের দরবারে সংক্রমণের নিরিখে অষ্টম থেকে সপ্তমে পৌঁছেছে ভারত।

দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রোজই সংক্রমণের নিরিখে নয়া রেকর্ড গড়ছে ভারত। স্বস্তি ছিল একটাই, গোষ্ঠী সংক্রমণ এখনও হয়নি। এবার সেটাও শেষ! ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতিমধ্যেই দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার জেরেই দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের পরিমাণ। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। জয়েন্ট কোভিড টাস্ক ফোর্স’ (JCTF)-এর ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল গঠন করেছেন। এই দলে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোলের প্রাক্তন প্রধানও রয়েছেন। এই দলের মতেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:করোনার সম্ভাবনা দূর করতে চান? বাড়ির এই জিনিসগুলি রোজ জীবাণুমুক্ত করতে ভুলবেন না]

জয়েন্ট কোভিড টাস্ক ফোর্স’-এর দলে রয়েছে ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ এপিডেমিওলজিস্টস-এর সদস্যরা। গত এপ্রিল মাসে এই দলটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা বলছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার না করলেও ভারতের বিপুল পরিমাণে আক্রান্তের সংখ্যা এটাই প্রমাণ করছে যে এখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। এটাই করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ধাপ। এই পর্যায়ে ব্যক্তি কীভাবে সংক্রমিত হবেন তা বোঝা সম্ভব নয়।

[আরও পড়ুন:লাগাতার লকডাউনের জের, মে মাসেও উদ্বেগজনক দেশের বেকারত্বের হার]

এরই মধ্যে আজ থেকে দেশে শুরু হয়েছে ‘আনলক ১’ পর্ব। যেখানে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে স্বাভাবিক করা হচ্ছে সমস্ত পরিষেবা। শিথিল করা হয়েছে বেশিরভাগ নিয়ম। কেবল মাত্র কনটেনমেন্ট জোনগুলিতেই লকডাউনের কড়াকড়ি বজায় রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৩৯২ জন। সংক্রমণের নিরিখে যা রেকর্ড। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৩৫ জন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement