সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের পর ভারতে করোনায় ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’-এর (Community Spreading) কথা বলল দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসক সংগঠন IMA. আর তাদের এই দাবিতে উদ্বেগ বাড়ল অনেকটাই, যা হেলায় উড়িয়ে দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ফি দিন সংক্রমণের হার সত্যিই চিন্তায় রাখছে।
রেখেঢেকে আর বিশেষ লাভ হচ্ছে না। দেশের করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে কেন্দ্র স্বীকার করুক বা না করুক, দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসক সংগঠন একে গোষ্ঠী সংক্রমণ বলেই চিহ্নিত করছে। IMA হাসপাতাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ডক্টর ভিকে মোংগা বলছেন, “প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এটা এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। খুব খারাপ ইঙ্গিত। গ্রামাঞ্চলের সংক্রমণের হার দেখে বলতেই হচ্ছে, এবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।” IMA’র মতে, সবচেয়ে উদ্বেগের ছবি কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলো। গ্রামাঞ্চলে সঠিক সময়ে পরীক্ষার অভাবে করোনা রোগীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। সংক্রমণের উৎস বোঝা যাচ্ছে না। সেটাই বড়সড় বিপদের কারণ।
তাহলে সমাধান কী? ডক্টর ভিকে মোংগার মতে, আশার আলো শুধু প্রতিষেধক। ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা ‘প্রতিষেধক’ কোভ্যাকসিন সফল হলে, তবেই এই উচ্চহারে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। IMA’র এই দাবি নিয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শান্তনু সেন এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলছেন, “বাংলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল রয়েছে, যেখানে আগে করোনা ছিল না। সম্প্রতি পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো বহু জেলায় তা বাড়ছে। এটা চিন্তারই বিষয়। কেন্দ্র বারবার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করছে। সংক্রমণ রুখতে বাংলাকে কোনও সাহায্য করছে না। তবু কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই বাংলা করোনা যুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার মৃত্যুর হার অনেক কম।” তবে একদল চিকিৎসকের মতে, গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলা হোক বা না হোক, দেশে প্রতিদিনের পরিসংখ্যানটা দেখলেই বোঝা যায় যে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এর আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেছিলেন, তিরুঅনন্তপুরম জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে গোষ্ঠী সংক্রমণই শুরু হয়েছে। তাই উপকূলবর্তী এলাকায় ফের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। এবার IMA’র দাবিও একই। কেন্দ্র এবার এ নিয়ে কী বলে, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.