সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে যখন উত্তাল জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি, তখন দাঙ্গার আগুন ছড়াল বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডেই। এবারও কাঠগড়ায় এক নাবালকের ফেসবুক পোস্ট। কেদারনাথকে নিয়ে আপত্তিজনক পোস্টের জেরেই হিংসার আগুন জ্বলল সে রাজ্যের সাতপুলি শহরে।
[ এবার গুজরাট দাঙ্গার ছবিকে বসিরহাটের বলে ছড়ানোর অভিযোগ ]
ক’দিন আগেই ফেসবুক পোস্টের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলার বসিরহাট। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রীতিমতো দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা নিয়ে শোরগোল জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশে। প্রশাসনকেই এই দাঙ্গার জন্য দায়ী করতে নানা যুক্তির অবতারণা বিভিন্ন চ্যানেলের বিতর্কসভায়। তারই মাঝে অশান্ত হয়ে উঠল উত্তরাখণ্ড। এখানেও এক নাবালকের ফেসবুক পোস্টকেই দায়ী করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এক নাবালক কেদারনাথ নিয়ে কিছু কথা লেখে ফেসবুকে। তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বজরং দলের সদস্যরা ও অন্যান্য দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় দোকানে দোকানে।
[ ‘আমেদাবাদ হেরিটেজের যোগ্য হবে যদি নাম হয় কর্ণাবতী’ ]
ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন জেলাশাসক। পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী। যার পোস্ট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত, তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ওই নাবালকের গ্রেপ্তারির দাবিতেই বজরং দলের সদস্যরা তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। দোকানে দোকানে ঢুকে সবজির বাক্স পুড়িয়ে দেয় তারা। এছাড়া যে দোকানিরা পালিয়ে গিয়েছে তাদের খুঁজে চড়াও হওয়ার তোড়জোড় চলছে বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয় মানুষ যাঁরা ঘটনার ভিডিও করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে, যতক্ষণ ওই নাবালক গ্রেপ্তার হচ্ছে, ততক্ষণ এই তাণ্ডব চালাবে বলে হুমকি দিচ্ছে বজরং দলের সদস্যরা।
[ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পা ধুইয়ে দিচ্ছেন মহিলারা, ভাইরাল ভিডিও ]
দেরাদুন থেকে ১৫০কিমি দূরে সাতপুলি নামক যে শহরে দাঙ্গা বেধেছে, সেখানে আজ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক হানাহানির কোনও ইতিহাস নেই। চার থেকে পাঁচ ঘর মুসলিম সেখানে শান্তিপূর্ণভাবেই বাস করে, বলে জানাচ্ছেন জেলাশাসক। এর আগে কোনওদিন এ ধরনের গোল বাধেনি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পাকিস্তানের কাছে দুরমুশ হওয়ার পর কোনও কোনও মুসলিম যুবক পাকিস্তানের নামে স্লোগান দেওয়ার অপরাধে আটক হয়েছিলেন। তারপরই ফেসবুক পোস্টের জেরে রীতিমতো দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ল এই ছোট্ট শহরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.