Advertisement
Advertisement
ধর্মীয়

সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই! মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি খারিজ করল ভারত

এই রিপোর্ট মিথ্যে ও পক্ষপাতদুষ্ট, অভিযোগ বিজেপির।

Committed to tolerance india rejects us report on religious freedom
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 23, 2019 5:45 pm
  • Updated:June 24, 2019 2:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। ধর্মীয় আচার থেকে খাদ্যাভ্যাস। সব বিষয়েই তাঁদের উপর খবরদারি চালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এই অভিযোগ করা হয়েছে আমেরিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। সেখানে ‘রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম ২০১৮’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

[আরও পড়ুন- নগদ নেই অর্থমন্ত্রকে, জুনের বেতন দেরিতে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের একাংশের]

তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় কোনও উদ্যোগ নেয়নি ভারত। গত এক বছরে গোরক্ষার আড়ালে অনেকবার হিন্দুত্ববাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা। নৃশংস ভাবে গণপিটুনির জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। কিন্তু, অপরাধীদের কোনও উল্লেখ্যযোগ্য শাস্তি হয়নি। আমেরিকা যেখানে বিশ্বব্যাপী সব মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় সচেষ্ট। তার ছিঁটেফোটা উদ্যোগ চোখে পড়েনি ভারতের দিক থেকে।

Advertisement

এই রিপোর্টের কথা প্রকাশ্যে আসতেই একে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করে শাসকদল বিজেপি। রীতিমতো বিবৃতি প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানানো হয় তাদের মিডিয়া শাখার পক্ষ থেকে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার জানান, বিদেশের এই রিপোর্ট সত্যি নয়। এর কোনও সারবত্তাই নেই। সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি ধারণার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই গোটা বিশ্বে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত। দেশের জনগণও এর জন্য গর্ববোধ করেন। সংবিধানে সংখ্যালঘু-সহ প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার সমান বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রে নির্বাচিত সরকারও মানুষের এই স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। কারণ ভারত সহনশীলতার নীতিতে বিশ্বাসী।

[আরও পড়ুন- বিচারপতির সংখ্যা ও অবসরের বয়স বাড়ান, মোদিকে চিঠি রঞ্জন গগৈ-এর]

রাবিশ কুমারের সুরে সুর মিলিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির মিডিয়া শাখার প্রধান এবং সাংসদ অনিল বালুনিও। শনিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি অভিযোগ করেন, এই রিপোর্টে মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটা মিথ্যে ও পক্ষপাতদুষ্ট একটি রিপোর্ট। কারণ, এতে স্থানীয় ও ব্যক্তিগত গন্ডগোলগুলিকে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগাযোগ নেই। ভারতের প্রতিটি সংস্থার গভীরে গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা বিরাজ করে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয় সরকার। বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা মোদি সরকারও ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ‘ নীতিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু, এই ধরনের বিষয়গুলি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement