সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের পথে হেঁটেই এবার সেনাবাহিনীতে জওয়ানদের সংখ্যায় রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র সরকার! পরিবর্তে জোর দেওয়া হবে আধুনিকীকরণে। সরকারর গঠিত এক সদস্যের কমিশন এই সুপারিশ করেছে। এই মুহূর্তে এত বেশি সংখ্যক সক্রিয় সেনা জওয়ানের প্রয়োজন নেই ভারতের। তাই জওয়ানদের একটি বড় অংশকে নিয়ে শক্তিশালী রিজার্ভ ফোর্স তৈরি করা হোক। এবং সক্রিয় সেনা জওয়ানদের সংখ্যা কমালে যে খরচ কমবে, তা দিয়ে সেনার আধুনিকীকরণ হোক এবং প্রযুক্তির উন্নতি করা হোক, এমনটাই পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
সেনার আধুনিকীকরণের জন্য কী কী প্রয়োজন জানতে এক সদস্যের কমিশন গঠন করেছিল কেন্দ্র। কমিশনের একমাত্র সদস্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল নর্দার্ন আর্মি কম্যান্ডারের প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডাকে। লেফটেন্যান্ট হুদার পর্যবেক্ষণেই ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় সেনা। নভেম্বরের শেষদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দপ্তরে নিজের রিপোর্ট পেশ করেছেন জেনারেল হুডা। তাঁর রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনা যথেষ্ট শক্তিশালী। ১২ লক্ষ সক্রিয় সৈন্যের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর পরিবর্তে কিছু সেনাকে নিয়ে রিজার্ভ ফোর্স তৈরি করা হোক। প্রয়োজন পড়লে এই রিজার্ভ ফোর্সকে ডেকে নেওয়া যাবে যুদ্ধক্ষেত্রে। সক্রিয় সেনার সংখ্যা কমালে প্রতিরক্ষা খাতে খরচও কমবে। বাড়তি টাকা দিয়ে কৌশলগত পরিবর্তন আনা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়া রপ্ত করতে এই টাকা খরচ করলে সেনা আরও শক্তিশালী হবে।
সেনা সূত্রে খবর, হুডার দেওয়া এই পরামর্শগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন মহলের আধিকারিকদের কাছে ব্যক্তিগত স্তরে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “হুডার পরামর্শগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হল, আমাদের আদৌ ১০০ শতাংশ সেনা জওয়ানকে সক্রিয় রাখার প্রয়োজন নেই। তাঁর পরিবর্তে কিছু লড়াকু এবং কৌশলগত বাহিনীকে রিজার্ভ ফোর্সে পাঠিয়ে দেওয়া যাক। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবেই চালু করা যায় এই প্রক্রিয়া।” হুডার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ২০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হতে পারে সক্রিয় সৈন্যের সংখ্যা। উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনার নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজন পড়লে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের কাজে তলব করা যায়। এবার সক্রিয় সেনাকর্মীদের জন্যও এই নিয়ম চালু করার পরামর্শ দিল কেন্দ্রের কমিশন। তবে, সরকারিভাবে এ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.