সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের বিষয়ে ভারতের নয়া নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান। ইসলামাবাদের পরমাণু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেগতিক বুঝলে প্রথমেই পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে বলে নয়া নীতি গ্রহণ করেছে নয়াদিল্লি। আর এই নীতিতেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ইসলামাবাদের।
পাক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ নীতির পরিবর্তনের পিছনে বিজেপির হিন্দুত্ব মডেলই দায়ী। ডন সংবাদপত্রকে প্রাক্তন পাক জেনারেল এহসান উল হক জানিয়েছেন, ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের পিছনে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাব রয়েছে।
ভারতের নয়া পরমাণু নীতির প্রথম ইঙ্গিতটি দেয় ম্যাসাকুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)। ভারত সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ একদল গবেষক অনুমান করেন, ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ নীতি থেকে ক্রমশ সরে আসছে নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে, এমনটা বুঝলে আর দেরি করবে না ভারত। প্রথমেই পারমাণবিক অস্ত্র-সহ হামলা করবে।
এমআইটি-র নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিস্ট বিপিন নারাং সম্প্রতি ওয়াশিংটনে এক আলোচনাসভায় মন্তব্য করেন, “পাকিস্তানকে প্রথম আঘাত করার সুযোগ দেবে না ভারত।” তাঁর মন্তব্যের ইঙ্গিত, ভারতের সনাতন পারমাণবিক নীতিতে অত্যন্ত গোপনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদল আনা হচ্ছে। পাক পরমাণু গবেষকরা এই নীতিতে গভীর উদ্বিগ্ন। কারণ, সম্প্রতি নয়াদিল্লি পাক অধিকৃত পাকিস্তান দাবি করে সুর চড়িয়েছে। বালোচিস্তান ও গিলগিট-বাল্টিস্তানকে ভারতের অংশ বলে দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি। গিলগিট-বাল্টিস্তানকে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু ওই এলাকা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব পাশ হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ১৯৪৭ থেকে ওই বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ‘অবৈধ’ ভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান, মন্তব্য ব্রিটেনের আইনসভার।
সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই পাকিস্তানের কাছে। আন্তর্জাতিক মহলেও পাকিস্তান এর জন্য তিরস্কৃত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত পারমাণবিক শক্তি বাড়িয়ে পাকিস্তানের উপর পরোক্ষভাবে আরও চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। ওই বিরোধপূর্ণ এলাকায় বলপূর্বক ও বেআইনিভাবে চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি) তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি। প্রস্তাবিত ৫১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওই প্রকল্প বালুচিস্তানের গদর বন্দরের সঙ্গে চিনের পশ্চিমে অবস্থিত জিনজিয়াং প্রদেশকে যুক্ত করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.