মনিশংকর চৌধুরি: কেরল মডেলেই অসমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার আবেদন জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ। রবিবার রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। সেই বৈঠকে কেরল মডেলের পক্ষে সওয়াল করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে, রাজ্যের বাঁধগুলির মেরামতের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানান তিনি। পরে এদিন বিকেলে মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গেও বৈঠকে বসেন সর্বানন্দ সোনওয়াল। সেখানে লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার পর্যন্ত অসমে ২৯ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলা সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিল সরকার। সেই বৈঠকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেরল মডেল অনুসরণ করার পক্ষে সওয়াল করেন। কেরলে কোভিড-১৯ (COVID-19)-এর মোকাবিলায় সম্পূর্ণ লকডাউন করা হয়। দোকান-বাজার করতেও বাড়ির বাইরে বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বদলে প্রশাসনের তরফে সেই সমস্ত আবিশ্যিক পণ্য বাড়ি-বাড়ি দিয়ে আসা হচ্ছিল।পাশাপাশি, প্রচুর সংখ্যায় পরীক্ষা (Rapid Test) চলছিল।এবার অসমেও সেই মডেল অনুসরণ করার পরামর্শ দেন অসমের বর্ষীয়ান নেতা। দোরে-দোরে ঘুরে অন্য রোগীদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও আবেদন করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের বাঁধগুলি পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়। তরুণ গগৈ জানান, প্রতিটি বর্ষায় অসমে বন্যা অবধারিত। করোনা যুদ্ধে শামিল হতে গিয়ে বাঁধের মেরামতির কাজ থমকে রয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শুরুর আবেদন জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে, রাজ্যে নিয়ন্ত্রিতভাবে যান চলাচল শুরু নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। এই বিষয়গুলি রাজ্য সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল।
গুয়াহাটির থানাপাড়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কলেজে সকাল ১১টা থেকে সর্বদলীয় বৈঠক ছিল। পরে বিকেল তিনটে থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। সেখানেও উপরোক্ত বিষয়গুলি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হয়। লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বার্তা হয়। সূত্রের খবর, লকডাউন পরবর্তী সময়ে একলপ্তে পাঁচ হাজার জনের বেশি লোককে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না। লকডাউন উঠলেই ভিনরাজ্যে থাকা অসমবাসী ঘরে ফিরতে উদ্যোত হবেন। কিন্তু পাঁচ হাজারের বেশি লোককে একবারে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও বৈঠকে ঠিক হয়েছে। কারণ, অসমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা সীমিত। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.