সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুকি ও মেইতেই দুই গোষ্ঠীর হুমকি পাল্টা হুমকিতে উত্তপ্ত মণিপুর। মঙ্গলবার কালো পোশাক পরে কফিন নিয়ে মিছিল করল কুকিদের তিনটি সশস্ত্র সংগঠন। ১০ জন কুকি জো জঙ্গির খুনের প্রতিবাদে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মেতেই সমাজ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ। সরকার কঠোর ভূমিকা না নিলে মেইতেই সমাজ সরকারের সঙ্গে সবরকমের অসহযোগিতার হুঙ্কার দিয়েছে।
মণিপুরে সপ্তাহখানেক ধরে ফের জাতিদাঙ্গার জেরে আগুন জ্বলে উঠেছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার রাজ্যের কুকি সংগঠনগুলি চূড়াচাঁদপুর জেলায় এক প্রতীকী ‘কফিন মিছিলের’ ডাক দিয়েছে। জঙ্গি তকমা দিয়ে সিআরপিএফ বাহিনীর ১০ জন কুকি-জো যুবককে খুনের প্রতিবাদে এই মিছিল ডাক দেয় কুকি ছাত্র সংগঠনগুলি। দশম শ্রেণির ঊর্ধ্বে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কালো জামা পরে মিছিলে অংশ নিতে বলা হয় জোমি স্টুডেন্টস ফেডারেশন, কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন এবং হমার স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সেই মতো ১০টি প্রতীকী কফিন নিয়ে শোক-প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় কুকিদের তরফে।
এদিকে মণিপুরের মেতেই নাগরিক সমাজ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় যারপরনাই অসন্তুষ্ট। একটি বৈঠকে তারা একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যাতে শাসকদলের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার কঠোর পদক্ষেপ না করলে তারা চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। বিশেষ করে এখানকার জিরিবাম জেলা। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এখানে। গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলায় হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১০ জঙ্গির মৃত্যু হলেও ৬ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে কুকিরা। পরে তাদের হত্যা করা হয়। উত্তপ্ত মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১৪ নভেম্বর নতুন করে লাগু হয়েছে আফস্পা। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এখানে ২০ কোম্পানি আধাসেনা আগেই মোতায়েন করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও ৫০ কোম্পানি আধাসেনা অর্থাৎ ৫ হাজার সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে মণিপুরে আধাসেনার দাঁড়াল পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.