সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘চেন্নাইয়ে এসে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা না করে কী করে যাব!’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এ কথা বলছিলেন, তখন তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। চেন্নাইয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন রাজ্যপাল লা গণেশণের পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তবে সেই বৈঠকের একদিন আগেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে ফুটে উঠল দুই নেতার সৌহার্দ্য।
বুধবার বিকেলের দিকে স্ট্যালিনের (MK Stalin) বাড়ি যান মমতা। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী রসিকতা করে বলছিলেন, চেন্নাইয়ের বিখ্যাত কফিতেও নাকি চুমুক দিয়েছেন তাঁরা। তবে, মমতা এদিনের বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাতের বাইরে বেশি কিছু বলতে নারাজ। বৈঠক শেষে তৃণমূল (TMC) নেত্রী বলছিলেন,”স্ট্যালিনের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল। ভাইবোনের মতো। আমি চেন্নাইয়ে এসে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করব না, সেটা হতে পারে না।” পরক্ষেণেই আবার মমতা বলেছেন,”দুজন রাজনীতিবিদ যখন বৈঠক করেন, রাজনৈতিক আলোচনা তো আসবেই। তবে, সবসময় শুধু রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় না। কখনও কখনও উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়।”
যদিও ওয়াকিবহাল মহল বলছে, তৃণমূলনেত্রী মুখে যতই স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলুন না কেন, আসলে এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করছেন মমতা। বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলিকে একত্রিত করে বিজেপিকে (BJP) কঠিন লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করছেন তৃণমূলনেত্রী। চেন্নাইয়ে উড়ে যাওয়ার আগেই তিনি বলে রেখেছিলেন, ২০২৪-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আঞ্চলিক দলগুলি।
আঞ্চলিক দলগুলিকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে স্ট্যালিনকে পাশে পাওয়া মমতার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্যালিন বিরোধী শিবিরের অন্যতম শক্তি। এরাজ্যে যেভাবে তৃণমূল বিজেপিকে রুখে দিয়েছে, তামিলনাড়ুতেও তেমনই স্ট্যালিনের ডিএমকে গেরুয়া শিবিরকে আটকে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, লোকসভার (Lok Sabha) সাংসদ সংখ্যার নিরিখে বিরোধী শিবিরে আপাতত তাঁরাই দ্বিতীয় স্থানে। স্বাভাবিকভাবেই স্ট্যালিনের সঙ্গে মমতার বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.