সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা। রাতভর লাগাতার বৃষ্টিতে ভাসছে জম্মুর এই জেলা। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬ জনের। জলের তোড়ে ভেসে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নিখোঁজ হন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। গভীর রাতে বৃষ্টিপাতের পরিমান বাড়ে। যার ধাক্কায় ডোডার একটি গ্রামের বাসিন্দারা বিপদে পড়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে ফের প্রকৃতির রোষে জন্মুর ডোডা জেলা। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে একটি গ্রাম কার্যত মানচিত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছে। ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অন্তত ২০ জন গ্রামবাসীর খোঁজ নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমান বাড়তে থাকে। রাত দুটো নাগাদ প্রবল বেগে বৃষ্টি শুরু হয়। যার ফলে অন্তত ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিকভাবে ভেঙেছে প্রায় ২০টি বাড়ি। স্থানীয়দের মতে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফুলে-ফেঁপে ছিল ডোডা নদী। এই নদীর সঙ্গে যুক্ত কিছু শাখা নদী। রাতের বৃষ্টিতে শাখা নদীর জলে ভেসে যায় ডোডার গ্রামটি। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে কাদা ধসে ওই জনপদ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা। দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত নিখোঁজ বাসিন্দাদের খোঁজ মেলেনি। এলাকা দুর্গম হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে উদ্ধাকারীদের বেগ পেতে হয়।
২০১৪ সালে ভয়াল বন্যার সাক্ষী হয়েছিল উপত্যকা। জুলাইয়ের শুরু থেকে ঝিলম এবং ডোডা নদীর জল বিপদসীমার ওপর থেকে বওয়ায় চিন্তা বাড়ছে দেশের উত্তর প্রান্তের রাজ্যের বাসিন্দাদের। গত সপ্তাহে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং কাদাধসে বিপর্যস্ত হয়েছিল ডোডার টান্টা গ্রাম। মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। ধসে বাকি রাজ্যের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরের রামবান জেলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.