ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল থেকে বাঁচার অধিকার একটি সুনির্দিষ্ট মৌলিক অধিকার। প্রতিটি মানুষের এই অধিকার আছে। সংবিধানই তাঁকে এই অধিকার দেয়। এক মামলার সূত্র ধরে সুপ্রিম কোর্টের এই সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ।
ভারতে অধুনা লুপ্তপ্রায় পশু এবং পাখির সংখ্যা কম নয়। এই তালিকায় অন্যতম ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান বাসটার্ড স্পিসিস’। গুজরাট এবং রাজস্থানে এদের দেখা যায়। তবে বর্তমানে এদের জীবন বিপন্ন। নেপথ্যে সেই মানুষ। আসলে দুরাজ্যে বিদ্যুতের খুঁটির ছড়াছড়ি। আর উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়, বিদ্যুতের খুঁটির সংস্পর্শে এসে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অধিকাংশ সময়ই এই পাখিগুলো বেঘোরে মারা যায়।
এই নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল এবং গত ২১ মার্চের রায়ে, এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তারই সূত্র ধরে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য– প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল বাড়ছে। যার অন্যতম পরিণতি উষ্ণায়ন, তাপমাত্রার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি। অথচ এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার আছে। ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর কুপ্রভাব বাড়তে থাকায় সেই অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের দাবি, সংবিধানের ২১ এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ (সুস্থভাবে বাঁচার সমানাধিকার) অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল থেকে বাঁচার অধিকার প্রতিটি মানুষের আছে। এটি একটি নির্দিষ্ট এবং মৌলিক অধিকার। সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষজন জানেন না, কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল থেকে বাঁচবেন বা প্রতিরোধ করবেন। ফলে তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়েন। উচ্চবিত্তদের থেকে নিম্নবিত্তদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের কুফলের প্রভাব বেশি পড়ে। আর এতে তাঁদের সমানাধিকার লঙ্ঘিত হয়, যা অনুচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.