Advertisement
Advertisement

চুরি গিয়েছে রাফালে সংক্রান্ত নথি, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

নথি চুরি করেছে প্রাক্তন অথবা বর্তমান কর্মীরাই, অভিযোগ অ্যাটর্নি জেনারেলের৷

 Classified defence documents stole: AG tells SC
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 6, 2019 3:08 pm
  • Updated:March 6, 2019 5:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি গিয়েছে রাফালে যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত গোপন নথি৷ সরকারি গোপনীয়তা আইনে এই চুরির তদন্ত চলছে৷ রাফালে সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল৷ তিনি অভিযোগ করেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যকে ভরসা করে, যাঁরা রাফালে সংক্রান্ত মামলা পুনর্বিবেচনার আরজি করেছেন, তাঁরা আসলে সরকারি গোপনীয়তা আইনকে লঙ্ঘন করছেন৷

[হোলি বাম্পার, মাত্র ৮৯৯ টাকায় বিমানযাত্রার সুযোগ দিচ্ছে ইন্ডিগো ]

Advertisement

সূত্রের খবর, এদিন শীর্ষ আদালতে এজি কে কে বেণুগোপাল জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কোনও প্রাক্তন বা বর্তমান কর্মীই এই গোপন নথিগুলি চুরি করে থাকতে পারেন৷ এরপরই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এজি’র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন?’ উত্তরে এজি বলেন, ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে আমরা তদন্ত করছি৷’ জানা গিয়েছে, এরপরই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ প্রধান বিচারপতির সামনে তাঁর বক্তব্য পেশ করেন৷ রাফালে সংক্রান্ত বিষয়ে ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রে যে প্রতিবেদন বের হয়েছিল, কোর্টের সামনে তা পেশের আরজি জানান প্রশান্ত ভূষণ৷ আদালত সূত্রে খবর, কিন্তু প্রধান বিচারপতি তাঁকে জানান, নতুন করে কোনও তথ্য তাঁরা জানতে চান না৷ আগে যে তথ্য পেশ করা হয়েছে তা ভাল করে পড়েছেন তাঁরা৷

[‘ইতিহাস বদলাতে পারব না, আমরা বর্তমান নিয়ে চিন্তিত’, অযোধ্যা মামলায় মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]

গত ১৪ ডিসেম্বর রাফালে সংক্রান্ত মামলায় বড় স্বস্তি পায় সরকার৷ সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই মামলায় কোনও ধরনের দুর্নীতি হয়নি৷ ফলে চুক্তিতে যে দুর্নীতির অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা, শীর্ষ আদালতের রায়ে তাঁদের মুখ পোড়ে৷ এরপরই শীর্ষ আদালতে রাফালে সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার দুটি আলাদা মামলা দায়ের করেন যশবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরি এবং আপ নেতা সঞ্জয় সিং৷ তবে এদিনের শুনানিতে সঞ্জয় সিংয়ের মামলা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি৷ অভিযোগ, ওই মামলায় শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে কুরুচীকর মন্তব্য করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, আপের এই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে কটোর পদক্ষেপও নিতে পারেন সুপ্রিম কোর্ট৷ এবং শেষে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement