সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কটা অনেকদিনের। তা নিয়ে নানাজনের নানা মত। কেউ বলেন সৌধ। আবার কেউ তথ্য দিয়ে দাবি করেন, এটি মন্দির। সত্যিটা যে কী, তা এখনও স্পষ্ট হয় নি। সেই কারণে এবার কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, তাজমহল আদপে শাহজাহানের তৈরি সৌধ না কি রাজপুত রাজা শিবমন্দিরটি মোঘল সম্রাটকে দিয়েছিলেন, তা যেন স্পষ্ট করা হয়।
[মাটির প্রলেপও দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না তাজমহলকে!]
সম্প্রতি ইতিহাসবিদ ও বিভিন্ন মামলার জেরে এই প্রশ্নটা আরও জোরাল হয়েছে, তাজমহল সত্যি কী, তা পরিষ্কার হওয়া উচিত। সেইমতোই তথ্য অধিকার আইনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে এ বিষয়ে আর্জি জানানো হয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দিনকয়েক আগে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচার্যালু নির্দেশ দিয়েছেন, তাজমহল সৌধ না মন্দির তা নিয়ে মতামত জানাক সংস্কৃতি মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, তাজমহল বা কোনও মিনারের প্রতিকৃতি নয়, বিশ্ববাসীর সামনে ভারতীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে বিদেশিদের ভগবত গীতা বা রামায়ণের মতো মহাকাব্য উপহার দেওয়া উচিত। ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে এবার এমনই পদক্ষেপের পক্ষে জুন মসে সওয়াল করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
[ধর্মের কারণেই যোগীর হেরিটেজ সংস্কার তালিকা থেকে বাদ তাজমহল?]
মোদি সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে বিহারের দ্বারভাঙার এক জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলে অথবা বিদেশের কোনও রাষ্ট্রপতি এ দেশে এলে মেমেন্টো হিসেবে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে ভগবত গীতা। এ দেশে প্রথমবার এমনটা হচ্ছে। আগামী দিনেও হবে। কারণ তাজমহল অথবা কোনও মিনার ভারতের সংস্কৃতি সম্বন্ধে কোনও ধারণা তৈরি করতে পারে না। কিন্তু কোনও বিদেশি অতিথিকে রামায়ণ উপহার দিলে তিনি বিহারের ইতিহাস সম্বন্ধে নানা তথ্য জানতে পারবেন।”
[গেরুয়া স্কার্ফ পরে মডেলদের ঢুকতে বাধা তাজমহলে, তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.