Advertisement
Advertisement
মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলানোর পক্ষে সওয়াল প্রধান বিচারপতির

এই বিষয়ে নির্দিষ্ট একটা গাইডলাইন বানাতে চাইছে কেন্দ্র।

CJI SA Bobde says death-row convicts ‘cannot go on fighting endlessly’

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 23, 2020 7:27 pm
  • Updated:January 23, 2020 7:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইনকে কাজে লাগিয়ে নির্ভয়ার ধর্ষকরা বারবার ফাঁসির দিন পিছিয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হায়দরাবাদের এনকাউন্টারের পুনরাবৃত্তিই দেখতে চাইছে সবাই! যে প্রবণতা দেশের আইন ব্যবস্থার পক্ষে খুবই মারাত্মক বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার এই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির আবেদন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার এর প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার স্বপক্ষেই মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে।

আজ এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট নির্যাতিতার অধিকার সুরক্ষিত করার দিকেই ফোকাস করবে। অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্তের কাছে যেন আইনের ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়ার সুযোগ না থাকে। অথবা আইনের ফাঁককে কাজে লাগিয়ে সে যেন বিচারের প্রক্রিয়া দীর্ঘ না করতে পারে। কোনওভাবেই সে যেন অন্তহীন লড়াই করার সুযোগ না পায়।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: অমর জওয়ান জ্যোতি নয়, সাধারণতন্ত্র দিবসে পুষ্পস্তবক দেওয়া হবে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে ]

 

তাঁর কথায়, দেশের আইনের ফাঁক কাজে লাগিয়ে একজন দোষী যেন কোনও সুবিধা না পায়। সে যেন মনে না করে যে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে ক্রমশ এটা কার্যকর করার সময় পিছিয়ে দেওয়া যায়। এই নিয়ে যখন তখন আবেদন জানানো যায়। তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে বিচার বিভাগের সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে।

[আরও পড়ুন: NRC’র পালটা NRU, বেকারত্বের তথ্য সংগ্রহ করতে ঘরে-ঘরে যাবেন কংগ্রেস কর্মীরা ]

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গত ১৭ জানুয়ারি ফাঁসির নতুন দিন ঘোষণা করে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। পয়লা ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় তিহার জেলে চারজনকে একসঙ্গে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হবে। এর আগে জানানো হয়েছিল, দোষীদের ফাঁসি হবে ২২ জানুয়ারি। কিন্তু, একাধিক আইনি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। অপরাধী মুকেশ সিং মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন ফাইল করে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজিও জানায়। তার জেরেই পিছিয়ে যায় ফাঁসি কার্যকর করার প্রক্রিয়াটি। যা নিয়ে তীব্র হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ভয়ার মা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement